রবিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৫

ধোবাউড়ায় আধুনিক ডাকবাংলো নির্মাণে ব্যাপক অনিয়ম - জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা


ইকবাল কবির মানিক: ময়মনসিংহ জেলার দীর্ঘদিনের অবহেলিত ধোবাউড়া উপজেলার একমাত্র সরকারী ডাকবাংলোটি আধুনিকায়নে চলছে পূণ:নির্মাণ কাজ। জানুয়ারী মাসের ৭ তারিখে এর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন এবং উদ্বোধনের পর বিরামহীনভাবে চলছে নির্মাণকাজ। তিনতলা বিশিষ্ট দ্বিতল ভবন নির্মাণ কাজে শুরু থেকেই চলছে নানা অনিয়ম। একাধিকবার দৈনিক পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশ এবং জেলা প্রশাসক, ময়মনসিংহ কে বিষয়টি অবহিত করলেও অজ্ঞাত কারণে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন সাড়া মিলছে না। ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান বিষয়টি অবগত হলেও অজ্ঞাত কারণে সরেজমিনে আসতে পারছেন না। ফলে ধোবাউড়া উপজেলার সচেতন মহলের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য শোনা যাচ্ছে। ডাকবাংলোটির নির্মাণকাজের দায়িত্বে থাকা হেডমিস্ত্রি মো: তাজুল ইসলাম এর কাছ থেকে মিলছে না কোন সদুত্তর। গত সপ্তাহের শেষের দিকে ভবনটির অবশিষ্ট পাঁচটি পিলারের বেজ ঢালাইয়ের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা থেকে আসা প্রকৌশলী মো: দেলোয়ার হোসেন এবং মো: মফিজ উদ্দিন। তাদের উপস্থিতিতে এই পাঁচটি বেজ এর ঢালাইকাজ সম্পন্ন্ হয়েছে। এলাকাবাসীর পক্ষে প্রত্যক্ষ দর্শী জনৈক রাজমিস্ত্রি জানান, ঢালাইকাজ শেষে সেখানে গিয়ে দেখা যায় কয়েকটি বেজ প্রায় ৭ থেকে ৮ ইঞ্চি করে ঢালাই দেয়া হয়েছে। ঘটনার সূত্র ধরে সরে জমিনে গিয়ে এ ব্যাপারে দায়িত্বে থাকা হেডমিস্ত্রি তাজুল ইসলামকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, আমাকে বলে লাভ নেই। আমাকে যেভাবে বলা হয় আমি সেভাবেই কাজ করি। তিনি আরো বলেন, প্লান অনুসারে কয় ইঞ্চি ঢালাই হওয়ার কথা তা আমার জানা নাই। ইঞ্জিনিয়াররা যেভাবে বলে দেয় আমি সেভাবেই ঢালাই করাই। এদিকে নির্মাণ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে আট মিলি রড। তবে কয় মিলি রড ব্যবহার করার কথা সে সম্পর্কে কোন সদুত্তর মিলেনি। এদিকে সদ্য ঢালাইকৃত বেজ এর উপরে অংশে ২ থেকে তিন ফুট এর মধ্যে পিলার গুলোর বিভিন্ন অংশে ঢালাই খসে পড়ায় সেখানে সিমেন্ট-বালি মিশ্রণ দিয়ে ঘষামাজা করতেও দেখা গেছে।
নির্মাণকাজে অভিজ্ঞরা বলছেন, এভাবে কাজ চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে আধুনিক এই ডাকবাংলোটিতে যে কোন সময় ফাটল দেখা দিতে পারে। তাই বিষয়টি গুরুতের¡ সাথে মনিরটরিং করার জন্য জেলা প্রশাসক সহ উধ্বর্তন কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন অনেকেই।