শনিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০১৫

ধোবাউড়ায় ভূমিকম্পে স্কুল ভবন ধ্বসের আতঙ্কে দোতলা থেকে লাফিয়ে পড়ে প্রধান শিক্ষক সহ ১০ শিক্ষার্থী আহত

ডেস্ক রিপোর্ট: গতকাল শনিবার ১২টা ১০ মিনিটের সময় ভূমিকম্পে ধোবাউড়া উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের কালিকাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষা চলার শেষ মুহুর্তে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ধ্বসের আতঙ্কে দোতলা থেকে লাফিয়ে ও সিঁড়ি বেয়ে নামতে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকসহ ১০ শিক্ষার্থী আহত হয়। আহতদেরকে তাৎক্ষনিক ধোবাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। আহতরা হল ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম তারেক(৩৬), শিক্ষার্থী মার্জিয়া(১২), শাকিব(৮), আকাশ(৮), রূপা(১০), কাছম আলী(১০), হাদিছা(১১), হালিমা(১২), রোহিত(১০), রিফাত(৮)। আহতদের মধ্যে হালিমা(১২) চোখে মারাতœক জখম হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। ইতিমধ্যে সমাজকল্যান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি’র পক্ষে উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এডভোকেট আব্দুল মান্নান আকন্দ আহত প্রত্যেককে নগদ ২ হাজার টাকা, ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকীর পক্ষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান হালিমা খাতুনকে ৩ হাজার এবং বাকী আহত ৯জনকে ২ হাজার করে মোট নগদ ২১হাজার টাকা অনুদান প্রদান করেন। এছাড়াও ঢাকায় চিকিৎসাধীন ধোবাউড়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজনু মির্ধা আহত প্রত্যেককে ১ হাজার টাকা করে প্রাথমিক অনুদান প্রদানের ঘোষনা দেন। কালিকাবাড়ী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ ভবন হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও বিকল্প অন্য কোন ভবন না থাকায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ৬ শতাধিক শিক্ষার্থী বিদ্যালয়টিতে লেখাপড়া করছে। উক্ত স্কুলের শিক্ষক আব্দুস সাত্তার জানান, ভূমিকম্প চলাকালীন সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির ছাদ থেকে প্লাস্টার পড়তে থাকলে আতঙ্কে ছাত্রছাত্রীরা হৈ-হুল্লোর করে দৌঁড়ে দুতলা থেকে নিচে নামতে গিয়ে প্রধান শিক্ষক সহ ১০জন আহত হয়েছে। অন্যদিকে ভূয়া তথ্য দিয়ে দু-একটি বেসরকারী টিভি চ্যানেলে ছাদ ধ্বসে ১ শিক্ষার্থীর মৃত্যু ও কয়েকজন আহত হওয়ার খবর দেখাতে থাকলে ধোবাউড়া সহ সারা দেশে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।

কোন মন্তব্য নেই: