ধোবাউড়া(ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা: গতকাল শুক্রবার বেলা ২টায় ধোবাউড়া থানা পুলিশ সদর ইউনিয়নের রানীগাঁও গ্রামে একটি শ্যালো মেশিনের ঘর থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসী ও পুলিশসূত্রে জানা যায়, ধোবাউড়া গ্রামের নুর হোসেনের মেয়ে পারভিন আক্তার(২৮) পার্শ্ববর্তী রানীগাঁও গ্রামের হরমুজ আলীর ছেলে বাবুল মিয়া(৪০) এর সাথে ১০ বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ দুই সন্তানের জননী পারভিনের উপর মানসিক ও শারিরিক নির্যাতন চালাতো পাষন্ড স্বামী বাবুল মিয়া ও পরিবারের লোকজন। গত তিন দিন যাবৎ গৃহবধূ পারভিনকে কোথাও খোঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা বলে পরিবারের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার দেয়া হয়। গতকাল স্বামী বাবুল মিয়া ও পরিবারের লোকজন পারভিন ফাঁসিতে ঝুলে মৃত্যুবরণ করেছে মর্মে স্থানীয় ইউপি সদস্য আমজত হোসেনকে খবর দেয়। পরে আমজত হোসেন ধোবাউড়া থানা পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করলে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এসআই সাদির উদ্দিন ঘটনাস্থলে যান। শতশত লোকের উপস্থিতিতে পুলিশ বাবুলের বাড়ি থেকে আনুমানিক ৫০০গজ দুরের খোলা মাঠে একটি শ্যালো মেশিনের ঘর থেকে গলার পেছনের দিকে গামছা প্যাঁচানো এবং পা মাটিতে লেগে থাকা অবস্থায় গৃহবধূ পারভিনের লাশ উদ্ধার করে এবং এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে পুলিশ নিহত পারভিনের স্বামী বাবুল মিয়া(৪০), শশুর হরমুজ আলী(৬৫) এবং শাশুরী ফজিলা খাতুন(৬০) কে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিহত গৃহবধূ পারভীনের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। নিহতের পরিবারের দাবি, পারভিনকে নির্যাতন চালিয়ে হত্যার পর মুখে বিষ ঢেলে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আতœহত্যার নাটক সাজিয়ে এ নির্মম হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে পরিচালিত করার অপচেষ্টার পায়ঁতারা করছে অভিযুক্ত পরিবার ও একটি স্বার্থান্বেষী মহল। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন