তরমুজে বিপজ্জনক লাল রঙ ও মিষ্টি সেকারিন মিশিয়ে ইনজেকশনের সিরিঞ্জের
মাধ্যমে পুশ করে পাকা ও লাল বলে বিক্রি করা হচ্ছে। এই তরমুজ খেয়ে শিশুসহ
বিভিন্ন বয়সের লোকজন মারাত্মক অসুস্থ হওয়া এবং মৃত্যুও হতে পারে।
ইতোমধ্যেই কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ২ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তরমুজ ব্যবসায়ীকে
পুলিশ গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তরমুজ গ্রীষ্মকালীন একটি সুস্বাদু ফল। রাজধানী ও
গ্রামগঞ্জে তরমুজ সবার কাছে বেশ জনপ্রিয়। এতে প্রচুর পরিমাণ পানি থাকে। এই
ফলে শতকরা ৬ ভাগ চিনি, ৯২ ভাগ পানিসহ অন্যান্য ভিটামিন জাতীয় উপকরণ থাকে।
এছাড়াও দাম কিছুটা কমের কারণে সবাই গরমে তরমুজ খায়। দেশের উপকূলেও বিভিন্ন
জেলা-উপজেলায় এই ফলের চাষ করা হয়। সম্প্রতি দেশজুড়ে প্রচ- দাবদাহের কারণে
ব্যবসায়ীরা কাঁচা-পাকা তরমুজ ট্রাক ও ট্রলার ভর্তি করে ঢাকার পাইকারি
বাজারসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করছে। পাকা ও মিষ্টি তরমুজের দাম বেশি
হওয়ায় অসাধু ব্যবসায়ীরা তরমুজে ভেজাল মেশায়। এই ভেজালমিশ্রিত তরমুজ খেয়ে
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে সেজুতি ও অনিক নামে দুই শিশুর মর্মান্তিক মৃত্যু
হয়েছে। কমপক্ষে আরও ২০ থেকে ২৫ জন অসুস্থ হয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে
ভর্তি হয়েছে। এভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে অসাধু ব্যবসায়ীরা তরমুজে ভেজাল
মিশিয়ে নতুন কৌশলে বেশি দামের আসায় বিক্রি করছে।
মিরপুর এলাকার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, মিরপুরে বিভিন্ন তরমুজের আড়তে
ভোর বেলায় টোকাইসহ ফুটপাটের শিশুদের দিয়ে পুরনো ব্যবহ্নত ইনজেকশনের
সিরিজে বিষাক্ত লাল রঙ ও মিষ্টি সেকারিন কিনে পানি মিশিয়ে তরমুজের বোটা বা
নিচের অংশে কৌশলে ইনজেকশনের সুই ঢুকিয়ে কেমিক্যাল মেশানো হয়। এই
কেমিক্যাল মেশানোর কারণে তরমুজ লাল রঙ ধারণ করে ও মিষ্টি হয়। দোকানে চুরি
দিয়ে কেটে তরমুজ পাকা দেখিয়ে এর দাম হাঁকানো হয়। অনেক সময় তরমুজ যাতে
নষ্ট না হয় তার জন্য কেমিক্যাল মেশানো হয়।
সূত্র মতে, ১০০ তরমুজে বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশালে টোকাইদের দেয়া হয় ২০ থেকে
২৫ টাকা। তারা ভোর থেকে টাকার লোভে সকালে ক্রেতা আসার আগে বিষাক্ত রঙ
মেশানোর কাজ শেষ করে। এভাবে দেশের বিভিন্ন জেলা ও বিভাগীয় শহর এবং তরমুজের
আড়তে সুযোগ বুঝে অসাধু ব্যবসায়ীরা তরমুজে ভেজাল মেশায়। এ ভেজালমিশ্রিত
তরমুজ খেয়ে শিশু থেকে বিভিন্ন বয়সের মানুষ অসুস্থ হচ্ছে। অনেকেই বমি ও
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ তত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ গবেষণা
ইনস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মোস্তাক হোসেন জানান,
ইদানীং খাদ্যে ভেজাল মেশানো মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছেছে। কৃষিজাত পণ্যে
কীটনাশক, নিষিদ্ধ রঙ মেশানো হচ্ছে। খাদ্যের মান উন্নত দেখানোর জন্য এসব
বিষাক্ত কেমিক্যাল মেশানো হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে নিষিদ্ধ রঙ ও মেশানো
তরমুজ খেয়ে শিশুরা দ্রুত আক্রান্ত হচ্ছে, এমনকি মারা যাচ্ছে। আর বয়স্কদের
কিডনি, লিভারে বিভিন্ন সমস্যা হচ্ছে। এতে ক্যান্সারসহ অন্যান্য মারাত্মক
রোগ হতে পারে। কুষ্টিয়ার ঘটনা তদন্তে মহাখালী রোগ তত্ত্ব বিভাগের প্রায়
৫-৭ সদস্যের বিশেষজ্ঞ টিম কুষ্টিয়া গেছে। তারা সেখান থেকে নিহত ও
আক্রান্তদের আলামত সংগ্রহ করে ঢাকায় এনে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিষয়টি
নিশ্চিত হওয়া যাবে। এ ব্যাপারে কৃষি বিভাগের সহায়তা নিয়ে জনসচেতনা বাড়ানোর
পদক্ষেপ নেয়া হবে।
কুষ্টিয়া কুমারখালী থানার ওসি শেখ লুৎফর রহমান সংবাদকে ফোনে জানান, ২ শিশু
মৃত্যুর ঘটনায় তরমুজ বিক্রেতাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। আর ঢাকার
বিশেষজ্ঞ টিম নমুনা সংগ্রহ করছে। এরপর বিষয়টি জানা যাবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) বিশেষজ্ঞ ডা. এএসএস আলমগীর ফোনে জানান,
কুষ্টিয়ার ঘটনায় তরমুজে কাপড়ের লাল রঙ জাতীয় কিছু মেশানো হয়েছে। এতে শিশু
বমি, ডায়রিয়া হয়ে মারা যেতে পারে। যে তরমুজ খেয়ে শিশু মারা গেছে তার অংশ
পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়েছে। ওই দোকান ১৫টি তরমুজ জব্দ করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ টিম ঢাকার উদ্দেশে কুষ্টিয়া ত্যাগ করেছে। এরপর নমুনা পরীক্ষা করা
হবে। তার মতে, ফল খেতে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
আপনার আমার সচেতনতার পারে একটি জীবন ভালো বাচতে।
সূত্র: pakhirbasa.com
বাতাবি লেবুর পুষ্টিগুণ
ভিটামিন 'সি', বিটা ক্যারোটিন আর ভিটামিন 'বি'তে ভরপুর বাতাবি লেবু।
গর্ভস্থ মহিলা, স্তন্যদানকারী মা ও সন্তান নিতে ইচ্ছুক নারীদের জন্য বাতাবি
লেবু যথেষ্ট উপকারী। এতে লিমোনোয়েড নামে এক ধরনের উপকরণ রয়েছে যা
ক্যান্সারের জীবাণুকে ধ্বংস করে। বাতাবি লেবুর রস শরীরের বাড়তি আমিষ ও
চর্বিকে ভেঙে ওজন কমাতে সাহায্য করে। শিরা-উপশিরার দেয়ালে চর্বি জমতে বাধা
দেয়। বার্ধক্য দূরে ঠেলতে ও ইনফেকজনিক সমস্যা (প্রধানত ত্বক, মুখ, জিহ্বা)
দূর করতে এর রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। খাবার হজমের জন্য হজমকারী এনজাইম
হিসেবে কাজ করে এই লেবুর রস। গরম, ঠাণ্ডাজনিত কারণ বা ঘাম জমে যে জ্বর হয়,
বাতাবি লেবু তাদের জন্য দরকারী পথ্য।
সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন-ঢাকা, শনিবার, ৬ আগষ্ট ২০১১।
কালিজিরার গুনাগুন
বহু প্রাচীনকাল থেকেই কালজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রায় চৌদ্দশত বছর আগে মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছিলেন, ‘‘কালজিরা রোগ নিরাময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তোমরা কালজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই প্রায় সকল রোগের নিরাময় ক্ষমতা এর মধ্যে নিহিত রয়েছে।’’ সেজন্য যুগ যুগ ধরে পয়গম্বরীয় ঔষধ হিসেবে সুনাম অর্জন করে আসছে। তৎকালীন সর্বশ্রেষ্ঠ মুসলিম চিকিৎসাবিজ্ঞানী ইবনে সিনা তার বিখ্যাত গ্রন্থ ‘কানন অব মেডিসিন' এ বলেছেন, ‘‘কালজিরা দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে।’’কালোজিরা Ranunculaceae গোত্রের উদ্ভিদ এবং এর বৈজ্ঞানিক নাম Nigella sativa। লম্বায় ২০-৩০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এর আদি নিবাস দক্ষিণ ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়া। বাংলা কার্তিক অগ্রহায়ণ মাসে এর ফুল ফোটে এবং শীতকালে ফল ধরে। ফলের আকার গোলাকার এবং প্রতিটি ফলে ২০-২৫ টি বীজ থাকে। এর বীজ কালো বর্ণের এবং প্রায় ত্রিকোণাকার। এর বীজগুলো একটি খোলসের ভিতরে থাকে। খোলসের ভিতরে অনেক বীজ থাকে। এর বীজগুলোতে তেল থাকে। এই উদ্ভিদের বীজ ব্যবহার করা হয়। মূলত এই বীজকেই কালিজিরা বলা হয়।
কালিজিরার ভেষজ ব্যবহারঃ
তিলের তেলের সাথে কালিজিরা বাঁটা বা কালিজিরার তেল মিশিয়ে ফোড়াতে লাগালে ফোড়ার উপশম হয়। রুচি, উদরাময়, শরীর ব্যথা, গলা ও দাঁতের ব্যথা, মাইগ্রেন, চুলপড়া, সর্দি, কাশি, হাঁপানি নিরাময়ে কালিজিরা সহায়তা করে। ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসাবে কালিজিরা সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী।
কালোজিরা চূর্ণ ও ডালিমের খোসাচূর্ণ মিশ্রন, কালোজিরা তেল ডায়াবেটিসে উপকারী।
চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হয়, তেমনি মেদ ও বিগলিত হয়।
মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানের পার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪ বার কালোজিরা তেল মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
কফির সাথে কালোজিরা সেবনে স্নায়ুবিক উত্তেজনা দুরীভুত হয়।
জ্বর, কফ, গায়ের ব্যথা দূর করার জন্য কালিজিরা যথেষ্ট উপকারী বন্ধু। এতে রয়েছে ক্ষুধা বাড়ানোর উপাদান। পেটের যাবতীয় রোগ-জীবাণু ও গ্যাস দূর করে ক্ষুধা বাড়ায়।
কালিজিরায় রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোরিয়াল এজেন্ট, অর্থাৎ শরীরের রোগ-জীবাণু ধ্বংসকারী উপাদান। এই উপাদানের জন্য শরীরে সহজে ঘা, ফোড়া, সংক্রামক রোগ (ছোঁয়াচে রোগ) হয় না।
সন্তান প্রসবের পর কাঁচা কালিজিরা পিষে খেলে শিশু দুধ খেতে পাবে বেশি পরিমাণে।
মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
দাঁতে ব্যথা হলে কুসুম গরম পানিতে কালিজিরা দিয়ে কুলি করলে ব্যথা কমে; জিহ্বা, তালু, দাঁতের মাড়ির জীবাণু মরে।
কালিজিরা কৃমি দূর করার জন্য কাজ করে।
কালিজিরা মেধার বিকাশের জন্য কাজ করে দ্বিগুণ হারে। কালিজিরা নিজেই একটি অ্যান্টিবায়োটিক বা অ্যান্টিসেপটিক।
দেহের কাটা-ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে।
নারীর ঋতুস্রাবজনীত সমস্যায় কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়।
কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অজির্ত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা হয়।
প্রসূতির স্তনে দুগ্ধ বৃদ্ধির জন্য, প্রসবোত্তর কালে কালিজিরা বাটা খেলে উপকার পাওয়া যায়। তবে গর্ভাবস্থায় অতিরিক্ত কালিজিরা খেলে গর্ভপাতের সম্ভাবনা থাকে।
প্রস্রাব বৃদ্ধির জন্য কালিজিরা খাওয়া হয়।
বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।
মধ্যপ্রাচ্যে প্রচলিত আছে যে, কালিজিরা যৌন ক্ষমতা বাড়ায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি দিতে সহায়তা করে। তবে পুরানো কালিজিরা তেল স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক।
সূত্র: ইন্টারনেট।
তুলসী গাছের পরিচিতি ও গুণাগুণ
তুলসী একটি ঔষধিগাছ। তুলসী অর্থ যার তুলনা নেই। সুগন্ধিযুক্ত, কটু তিক্তরস,
রুচিকর। এটি সর্দি, কাশি, কৃমি ও বায়ুনাশক এবং মুত্রকর, হজমকারক ও
এন্টিসেপটিক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষ করে কফের প্রাধান্যে যে সব রোগ
সৃষ্টি হয় সে ক্ষেত্রে তুলসী বেশ ফলদায়ক।
ব্যবহারজ্বর হলে জলের মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশ্রী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন৷ অথবা তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খান৷ জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে৷
কাশি যদি না কমে সেই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা এবং আদা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে খান৷ এতে উপকার পাবেন৷
পেট খারাপ হলে তুলসীর 10 টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে 3-4 বার খান৷ পায়খানা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে৷
মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে 4-5 বার তুলসী পাতা চেবান৷
ঘা যদি দ্রুত কমাতে চান তাহলে তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগান কমে যাবে৷
শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগান এতে জ্বালা কমবে৷ পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে৷ সেখানে কোন দাগ থাকবে না৷
ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য এছাড়া ত্বকের বলীরেখা এবং ব্রোনো দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগান৷
বুদ্ধি এবং স্মরণ শক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন 5-7 টা তুলসী পাতা চিবান৷
প্রস্রাবে জ্বালা হলে তুলসী পাতার রস 250 গ্রাম দুধ এবং 150 গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করুন৷ উপকার পাবেন৷
ত্বকের সমস্যা দূর করতে তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগান৷
অনেক সময় আমাদের হাতে ও পায়ে কালো কালো ছোপ পড়ে। এইসব দাগ থেকে রেহাই পেতে তুলশী পাতার জুড়ি নেই। তুলশী পাতার রসের সাথে দুধ,ময়দা, কাঁচা হলুদ বাটা ও জাফরান একসাথে মিশিয়ে হাত ও পায়ের কালো দাগের উপর লাগান। শুকিয়ে গেলে হালকা করে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন এইভাবে ব্যবহার করলে হাত ও পায়ের কালো ছোপ কমে যাবে।
একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর আমাদের সবার মুখের চামড়া কুঁচকে যেতে থাকে। তুলশী পাতার রস ও নারকেলের পানি সমপরিমানে মিশিয়ে মুখে ও শরীরে লাগাতে পারেন নিয়মিত। এতে করে চামড়া টান টান থাকবে।
তুলসী মূল শুক্র গাঢ়কারক এবং বাজীকারক। তুলসী পাতার ক্বাথ, এলাচ গুঁড়া এবং এক তোলা পরিমাণ মিছরী পান করলে ধাতুপুষ্টি সাধিত হয় যতদিন সম্ভব খাওয়া যায়। এটি অত্যন্ত ইন্দ্রিয় উত্তেজক। প্রতিদিন এক ইঞ্চি পরিমাণ তুলসী গাছের শিকড় পানের সাথে খেলে যৌনদূর্বলতা রোগ সেরে যায়।
কোন কারনে রক্ত দূষিত হলে কাল তুলসিপাতার রস কিছুদিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।শ্লেষ্মার জন্য নাক বন্ধ হয়ে কোনো গন্ধ পাওয়া না গেলে সে সময় শুষ্ক পাতা চূর্ণের নস্যি নিলে সেরে যায়। পাতাচূর্ণ দুই আঙ্গুলের চিমটি দিয়ে ধরে নাক দিয়ে টানতে হয়, সেটাই নস্যি। তুলসী পাতা দিয়ে চায়ের মত করে খেলে দীর্ঘদিন সুস্থ থাকা যায়। তুলসী চা হিসাবে এটি বেশ জনপ্রিয়।
সূত্র: ইন্টারনেট।