স্পোর্টস রিপোর্টার : আগামী ২০ থেকে ২৫ এপ্রিল এএফসি অনুর্ধ-১৪ গার্লস
রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপের খেলা নেপালের কাঠমান্ডুতে অনুষ্ঠিত হবে। সাউথ
এ্যান্ড সেন্ট্রাল জোন-এ পড়েছে বাংলাদেশ। গ্রুপ বি তে বাংলাদেশের সঙ্গে আছে
ভারত ও ভুটান। গ্রুপ এতে আছে ইরান, মালদ্বীপ, শ্রীলঙ্কা এবং নেপাল। এই
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ বালিকা ফুটবল দল আগামী ১৯ এপ্রিল
নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে। এ উপলক্ষে গতকাল বুধবার বাংলাদেশ
ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) ভবনের কনফারেন্স রুমে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে মহিলা ফুটবল কমিটির ডেপুটি চেয়ারপার্সন
মাহফুজা আক্তার কিরণ, বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ, টিম ম্যানেজার
আয়েশা জামান খুকি, প্রধান প্রশিক্ষক গোলাম রব্বানী ছোটন, অধিনায়ক কৃষ্ণা
রানী সরকার ও সহ-অধিনায়ক মিরশাত জাহান মৌসুমী, বাফুফে মহিলা ফুটবল কমিটির
সদস্য মাহফুজা নজরুল, সদস্য লাজুল নাহার কস্তুরী, সদস্য নাছরিন আক্তার
বেবী, সহকারী প্রশিক্ষক মাহবুবুর রহমান লিটু প্রমুখ। মাহফুজা আক্তার কিরণ
বলেন, আমাদের এই দলে একাধিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন খেলোয়াড় আছে, যারা এ আসরে দুই
বছর আগে এ আসরে খেলেছে। দলের নবীন খেলোয়াড়ও যথেষ্ট কুশলী। আশা করি তারা ভাল
খেলবে। মেয়েরা অবশ্যই খেলা শেষে বেকার বসে থাকবে না। বাফুফের পরিকল্পনা
অনুযায়ী আগামী রোজার পরই মেয়েদের নিয়ে লীগ শুরু হবে।
ছোটন বলেন , ৫০ দিন হলো দলকে অনুশীলন করিয়েছি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ৩৯ জনকে নিয়ে প্রাথমিক ক্যাম্প শুরু করি। তারপর ২৮ ফেব্রুয়ারি দল হয় ২৭ জনের। ১০ এপ্রিল তিনজনকে এবং ১২ এপ্রিল ছয়জনকে বাদ দিয়ে ১৮ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড গঠন করি।
২০১৩ আসরে সর্বশেষ সাক্ষাতে আমরা ভারতের কাছে ৫-১ গোলে হেরেছিলাম। এবার সেরকম কিছু হবে বলে দৃঢ় আশাবাদী। আমর এবার অনেক পরিণত। আশা করি আমরা ফাইনাল খেলব। এজন্য কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি।
এই দলে একাধিক এমন কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা অচিরেই জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখে।
অধিনায়ক কৃষ্ণ রানী সরকার বলেন, আমরা শক্তিশালী দল। ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে নেপালে যাব। দেশকে কিছু দিতে চাই। অবশ্যই ভাল খেলার চেষ্টা করব।
সহ-অধিনায়ক মিরশাত জাহান মৌসুমী বলেন, চেষ্টা করব ভাল রেজাল্টের। আমাদের দলে আছে অনুর্ধ-১৬ দলের ৭ ফুটবলার। আমাদেরর প্রধান প্রতিপক্ষ ভারত। তাদের বিরুদ্ধে গোল করতে না পারি কিন্তু গোল খাব না। আর ভুটানের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমরা জিতব। এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি। এই টুর্নামেন্টে সাতটি দেশ দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতি গ্রæপ থেকে শীর্ষ দুই দল খেলবে সেমিতে। সেক্ষেত্রে গ্রুপের একটি ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশের শেষ চারে খেলাটা নিশ্চিত। দলের খেলোয়াড়দের মান দেখেই এই আমি ভরসা পাচ্ছি। ছোটনের অভিমত। ভারতকেও হারানোর মতো শক্তি আর মনোবল বাংলাদেশের মেয়েদের আছে বলে দাবি করেন ছোটন। কারণটাও ব্যাখ্যা করেন, কয়েক মাস আগে অনুর্ধ-১৬ টুর্নামেন্টে ভারতকে তো আমরা প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিলাম। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান রেফারি মার্গারেটের বিতকির্ত রেফারিংয়ের কারণে আমরা অল্পের জন্য হেরে যাই।
উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে এএফসি অনুর্ধ-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপে (২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত) বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল ফেয়ার প্লে ট্রফি ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল।
বাংলাদেশের ম্যাচগুলো : ২১ এপ্রিল, দুপুর সোয়া ১টা, প্রতিপক্ষ: ভারত, ভেন্যু: দশরথ স্টেডিয়াম; ২২ এপ্রিল, বিকেল সোয়া ৩টা, প্রতিপক্ষ: ভুটান, ভেন্যু: আর্মি ফিজিক্যাল সেন্টার স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ বালিকা ফুটবল দল: গোলরক্ষক: তাসলিমা, মাহমুদা আক্তার, রূপা; ডিফেন্ডার: শামসুন নাহার, রুমা আক্তার, শিউলি আজিম, নার্গিস খাতুন, নাজমা, জোৎস্না; মিডফিল্ডার:রাজিয়া খাতুন, সানজিদা আক্তার, মিরশাত জাহান মৌসুমী (সহ-অধিনায়ক), কৃষ্ণ রানী সরকার (অধিনায়ক), মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুন, মনিকা চাকমা; ফরোয়ার্ড: মারজিয়া ও সিরাত জাহান স্বপ্না।
ডিনিউজবিডি/সোহেল
ছোটন বলেন , ৫০ দিন হলো দলকে অনুশীলন করিয়েছি। ২৫ ফেব্রুয়ারি ৩৯ জনকে নিয়ে প্রাথমিক ক্যাম্প শুরু করি। তারপর ২৮ ফেব্রুয়ারি দল হয় ২৭ জনের। ১০ এপ্রিল তিনজনকে এবং ১২ এপ্রিল ছয়জনকে বাদ দিয়ে ১৮ জনের চূড়ান্ত স্কোয়াড গঠন করি।
২০১৩ আসরে সর্বশেষ সাক্ষাতে আমরা ভারতের কাছে ৫-১ গোলে হেরেছিলাম। এবার সেরকম কিছু হবে বলে দৃঢ় আশাবাদী। আমর এবার অনেক পরিণত। আশা করি আমরা ফাইনাল খেলব। এজন্য কঠোর অনুশীলন চালিয়ে যাচ্ছি।
এই দলে একাধিক এমন কিছু খেলোয়াড় আছে, যারা অচিরেই জাতীয় দলের হয়ে খেলার যোগ্যতা রাখে।
অধিনায়ক কৃষ্ণ রানী সরকার বলেন, আমরা শক্তিশালী দল। ফাইনালে খেলার লক্ষ্য নিয়ে নেপালে যাব। দেশকে কিছু দিতে চাই। অবশ্যই ভাল খেলার চেষ্টা করব।
সহ-অধিনায়ক মিরশাত জাহান মৌসুমী বলেন, চেষ্টা করব ভাল রেজাল্টের। আমাদের দলে আছে অনুর্ধ-১৬ দলের ৭ ফুটবলার। আমাদেরর প্রধান প্রতিপক্ষ ভারত। তাদের বিরুদ্ধে গোল করতে না পারি কিন্তু গোল খাব না। আর ভুটানের বিরুদ্ধে অবশ্যই আমরা জিতব। এজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাচ্ছি। এই টুর্নামেন্টে সাতটি দেশ দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে খেলবে। প্রতি গ্রæপ থেকে শীর্ষ দুই দল খেলবে সেমিতে। সেক্ষেত্রে গ্রুপের একটি ম্যাচ জিতলেই বাংলাদেশের শেষ চারে খেলাটা নিশ্চিত। দলের খেলোয়াড়দের মান দেখেই এই আমি ভরসা পাচ্ছি। ছোটনের অভিমত। ভারতকেও হারানোর মতো শক্তি আর মনোবল বাংলাদেশের মেয়েদের আছে বলে দাবি করেন ছোটন। কারণটাও ব্যাখ্যা করেন, কয়েক মাস আগে অনুর্ধ-১৬ টুর্নামেন্টে ভারতকে তো আমরা প্রায় হারিয়েই দিচ্ছিলাম। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ান রেফারি মার্গারেটের বিতকির্ত রেফারিংয়ের কারণে আমরা অল্পের জন্য হেরে যাই।
উল্লেখ্য যে, ২০১৩ সালে এএফসি অনুর্ধ-১৪ চ্যাম্পিয়নশিপে (২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত) বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল ফেয়ার প্লে ট্রফি ও দ্বিতীয় রানার্সআপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছিল।
বাংলাদেশের ম্যাচগুলো : ২১ এপ্রিল, দুপুর সোয়া ১টা, প্রতিপক্ষ: ভারত, ভেন্যু: দশরথ স্টেডিয়াম; ২২ এপ্রিল, বিকেল সোয়া ৩টা, প্রতিপক্ষ: ভুটান, ভেন্যু: আর্মি ফিজিক্যাল সেন্টার স্টেডিয়াম।
বাংলাদেশ অনুর্ধ-১৪ বালিকা ফুটবল দল: গোলরক্ষক: তাসলিমা, মাহমুদা আক্তার, রূপা; ডিফেন্ডার: শামসুন নাহার, রুমা আক্তার, শিউলি আজিম, নার্গিস খাতুন, নাজমা, জোৎস্না; মিডফিল্ডার:রাজিয়া খাতুন, সানজিদা আক্তার, মিরশাত জাহান মৌসুমী (সহ-অধিনায়ক), কৃষ্ণ রানী সরকার (অধিনায়ক), মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুন, মনিকা চাকমা; ফরোয়ার্ড: মারজিয়া ও সিরাত জাহান স্বপ্না।
ডিনিউজবিডি/সোহেল
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন