জ্বর-ঠান্ডা, জন্ডিস-যক্ষা এমনকি ক্যান্সারও ভাল হয় বিড়ি খেলে

কুমিল্লার বড়–রা থানার খোসবাস গ্রামে গেলেই পাওয়া যাবে আধ্যাতিক এই বাবার দেখা। রোগ বালাই, পারিবারিক অশান্তি, আর্থিক সমস্যারও নাকি সমাধান মিলে তার এই একই ওষুধে। রিপোর্ট করছেন, ইলিয়াছ হোসাইন। ক্যামেরায় ছিলেন, আব্দুর রউফ। দেখে যে কারো মনে হতে পারে হয়তো মাদকাসক্তদের কোন নেশার আসর। আসলে তা নয়, এদের সকলেই কোন না কোন রোগ নিয়ে বাবার দরবারে এসেছেন। বিড়ি বাবা তাদেরকে ওষুধ দিয়েছেন। এদের রোগের ভিন্নতা আছে, বয়সেরও রয়েছে তারতম্য তবে, ওষুধ সবার জন্য একই। বাবার অভিনব চিকিৎসা হলো এক বসায় সবাইকে দশাটি বিড়ি শেষ করতে হবে।
গ্রামের সহজ-সরল মানুষের বিশ্বাসকে পূজি করে দির্ঘদিন ধরে ভন্ড বাবা এমন অভন্ড কার্যকালাপ চালিয়ে গেলেও অন্ধ ভক্তদের যেন কিছুতেই চোখ খুৃলছেনা। যারা বিড়ির ধোয়া সহ্য করতে না পারবেন, তাদেরকে আবার বিড়ির পানি খাইয়ে দেয়া হয়। তবে, বাবা এসবের কোন সদ্বোত্তর না দিয়ে আমাদের সাথেও ভন্ডামি করবার চেষ্টা করেছেন।
তবে, বড়–রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কথা বলতে গেলে তিনি উত্তেজিত হয়ে উঠেন। অনেকটা মাতালের মত এসপি-ডিসিকেও গালগাল করতে থাকেন তিনি। এলাকাবাসীর মতে, থানায় প্রতি মাসে দেয়া মাশোহারা বন্ধ হয়ে যাবার আশঙ্কাতেই ওসি বাবার পক্ষে সাফাই গেয়েছেন। বিড়ি বাবার ভন্ডামী বন্ধ করতে এবং পুলিশ প্রশাসনের সুনাম রক্ষার্থে থানার ওসির এমন আচরনেরও তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন স্থানীয় সচেতন বাসিন্দারা।
দর্শক এ ধরনের বেশ কয়েকজন ভন্ড বাবাদের কার্যকালাপ নিয়ে বিস্তারিত দেখবেন আজ রাত ৯টার সংবাদের পর একুশের চোখ অনুষ্ঠানে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন