রবিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০১৪

ধোবাউড়ায় খাদ্য গুদামের অর্ধকোটি টাকা মূল্যের চাল ও গম কালোবাজারের বিক্রির অভিযোগে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্থ, দুদক আইনে মামলাঃ


ডেস্ক রিপোর্ট:  ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা পোড়াকান্দুলীয়া খাদ্যগুদাম থেকে ১১৮ মেঃ টন চাল, ৩১ মেঃ টন গম কালোবাজেরর বিক্রির অভিযোগে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল কবীরকে সাময়িক বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে র্দুনীতি দমন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ২৮ নভেম্বর ইন্সপেক্টর শামীম আহম্মেদ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল কবীর পলাতক রয়েছে।  উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক উসমান গনি তার বহিস্কার ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। গত ২৭ নভেম্বর সকাল ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ধোবাউড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান পোড়াকান্দুলীয়া খাদ্য গুদামে পরিদর্শনে গিয়ে স্টক বইয়ের হিসাব অনুযায়ী চাল ও গম না পাওয়ায় খাদ্যগুদামটি সিলগালা করে দিয়ে জেলা প্রশাসক বরাবরে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরির্দশন কালে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক উসমান গনি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে থেকে স্টকের পরিমাণ নির্ধারণ করেন। স্টক বইয়ের হিসাব অনুযায়ী গুদামে ৭২১ মেঃ টন চাল ও ২৭৪ মেঃ টন গম মজুদ থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে গণনার শেষে ৬০৩ মেঃ টন চাল ও ২৪৩ মেঃ টন গম খাদ্য গুদামে মজুদ পাওয়া যায়। এতে মজুদ কৃত চাল থেকে ১১৮ মেঃ টন চাল ও ৩১ মেঃ টন গম কম পাওয়া যায়। যাহা সরকারী মূল্য প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা । উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাদ্যগুদাম পরিদর্শন কালে খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল কবীর অনুপস্থিত থাকলেও ১ ঘন্টা পর তিনি কর্মস্থলে হাজীর হয়ে লিখিত ভাবে তার বক্তব্য প্রদান করেন। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল কবীর তার লিখিত বক্তব্যে খাদ্যগুদামে ১৪৯ মেঃ টন গম ও চাল কম থাকার ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার লক্ষে উদ্দেশ্য প্রনোদিত বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন বলেও জানা যায়। বর্তমানে খাদ্য অধিদপ্তরের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে ম্যানেজ করে চাল ও গম কেলেংকারীর ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পোড়াকান্দুলীয়া খাদ্যগুদাম থেকে কালো বাজারে চাল ও গম বিক্রির কেলেংকারীর সাথে জড়িত চাল ব্যবসায়ী সুরুজ আলী ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছে। তাকে সরজমিনে গিয়ে বাসায় এবং মুঠো ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। এছাড়াও স্থানীয় কিছু চাল ব্যবসায়ী আত্মগোপনে রয়েছে বলেও সংবাদ পাওয়া গেছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খানের কাছে সর্ব শেষ অবস্থান জানতে চাইলে তিনি জানান তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে অবিলম্বে প্রকৃত সকল অপরাধী চিহ্নিত করে আইনী ও বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার প্রক্রিয়া চলছে। অভিযুক্ত খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল কবীর স¤্রাটের মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

কোন মন্তব্য নেই: