আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ধোবাউড়া উপজেলায় জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা। এবার মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন নতুন প্রার্থী ও দুইজন পুরাতন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন। নতুন প্রার্থীরা হলেন নাছিমা খাতুন(গামারীতলা), মোছাঃ হাসি আক্তার(বাঘবেড়) এবং কাজল রেখা(ধাবাউড়া)। আর পুরাতন প্রার্থীরা হলেন সেলিমা খাতুন এবং আগস্টিনা চিছাম। প্রার্থীদের মধ্যে একমাত্র আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আগস্টিনা চিছাম। বাকিরা সবাই স্বতন্ত্র। এর মধ্যে সেলিমা খাতুন গতবার বিপুল ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছিলেন।
তবে এবার বেড়েছে ভোটার সংখ্যা, পাল্টে গেছে নির্বাচনী চিত্র। সাতটি ইউনিয়ন ঘুরে জানা গেছে ভোটারদের ভিন্ন ভিন্ন মতামত। কেউ বলছেন, আমার কাছে সবাই সমান। যেই আমার কাছে আসে তাকেই বলি-আমি আপনার সাথে আছি। কেউ বলছেন, যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দেব। আবার কেউ বলছেন, এই মুহুর্তে সরাসরি কারো পক্ষ নেয়া সম্ভব নয়। তবে প্রতীক পাওয়ার পর সিদ্ধান্ত নেব। তারাইকান্দি গ্রামের আছিয়া খাতুন জানান, যেই আপার মিছিল বড় অইব তারেই ভোট দিয়াম। শামছুল আলম নামের জনৈক ভোটার জানান, মহিলা প্রার্থী বা প্রার্থীদের পক্ষের কেউই আমাদের গ্রামে আসেনি। আর এসেই তাদের দরকার কী? তারা তো শুধু একটা সাইনবোর্ড। কোন ক্ষমতা তাদের হাতে থাকে না। তবে যোগ্য প্রার্থীকেই ভোট দিব, কেউ আসুক বা না আসুক।
ধোবাউড়া উপজেলার সবচেয়ে ব্যস্ততম স্থান উপজেলা মোড়ে সাতটি ইউনিয়নের মানুষের আনাগোনা থাকলেও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রসঙ্গে কোন প্রকার আলোচনা নেই বললেই চলে।
অন্যদিকে ভোটের মাঠে থেমে নেই কোন মহিলা প্রার্থীই। রাত-দিন ছুটছেন উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ও গ্রামে। দোয়া চাইছেন জনে জনে। প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন স্বামী , পরিবারের সদস্য ও আত্মীয় স্বজনরা। এখন পর্যন্ত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পক্ষে কোন প্রকার মিছিল, বা শোভাযাত্রার খবর পাওয়া যায়নি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন