বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

ধোবাউড়ায় নির্বাচনী প্রচার শুরু

ডেস্ক রিপোর্ট: চতুর্থ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন(৩য় পর্যায়) এর অংশ হিসেবে ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্ধের পর নির্বাচনী প্রচারণায় নতুন মাত্রা পেয়েছে। গত ২৫ ফেব্র“য়ারি প্রতীক বরাদ্ধের পর প্রার্থীরা সমর্থকদের নিয়ে মিছিল ও শোভাযাত্রার মাধ্যমে ভোটারদের মাঝে নিজ নিজ অবস্থান তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। চেয়ারম্যান পদে এ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান আকন্দ- মোটর সাইকেল, মো: মজিবুর রহমান -ঘোড়া, আব্দুল আওয়াল- টেলিফোন, মো: শামছুর রশিদ-হেলিকপ্টার, আজহারুল হক- আনারস, মঞ্জুরুল হক- দোয়াত-কলম, আলহাজ্ব মো: মফিজ উদ্দিন-কাপপিরিচ এবং সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মরহুম ফুরকান উদ্দিন সেলিম মির্ধার সহোদর ছোট ভাই আলহাজ্ব মোহাম্মদ মজনু মিয়া ফেজ টুপি প্রতীক পেয়েছেন।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে মো: শওকত উছমান-টিউবওয়েল, মো: লুঃফুর রহমান ফকির -উড়োজাহাজ, মো: জসমত আলী- মাইক, মো: জহিরুল হক তালুকদার-বৈদ্যুতিক বাল্ব, মো: মঞ্জুরুল হক- তালা, মো: আবুল ফজল-টিয়া,  এবং মো: মোস্তফা কামাল হোসেন খান চশমা প্রতীক পেয়েছেন।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে আগষ্টিনা চিছাম-প্রজাপতি, মোছা: হাসি আক্তার-কলস, কাজল রেখা-হাঁস, নাছিমা খাতুন- ফুটবল এবং সেলিমা খাতুন পদ্মফুল প্রতীক পেয়েছেন।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, ০৭টি ইউনিয়ন বিশিষ্ট এই উপজেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৪৪টি, পুরুষ ভোটার সংখ্যা-৬১১২০জন এবং মহিলা ভোটার সংখ্যা-৬১৮৮৮ জন। সর্বমোট ভোটার সংখ্যা ১ লক্ষ তেইশ হাজার আট জন। এর মধ্যে দ: মাইজপাড়া ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র -৬টি, ভোটারসংখ্যা-১৯৩২৪; গামারীতলা ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র-৫টি, ভোটার সংখ্যা-১৬৯৯০; ঘোষগাঁও ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র-৫টি, ভোটার সংখ্যা- ১২৯৫৩; ধোবাউড়া ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র-৭টি, ভোটারসংখ্যা-২০৩৬১; বাঘবেড় ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র-৭টি, ভোটার সংখ্যা- ২০৪৯১; পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র-৭টি, ভোটার সংখ্যা-১৭২৩৩; এবং গোয়াতলা ইউনিয়নে ভোটকেন্দ্র-৭টি, ভোটার সংখ্যা-১৫৬৫৬।
গত ২২ জানুয়ারী ২০০৯ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ধোবাউড়া উপজেলায় মোট ভোটার ছিল ১লক্ষ ০৭হাজার ৬শত ৩৮ জন এবং ভোটকেন্দ্র ছিল ৪৪টি। ঐ নির্বাচনে সর্বমোট ভোট পড়েছিল ৮০৩৮৪টি; এর মধ্যে বাতিল হয়েছে ৩৪২২টি এবং বৈধ ভোটসংখ্যা ছিল ৭৬৯৬২টি। গত নির্বাচনে শেষ মুহুর্তে এডভোকেট আব্দুল মান্নান আকন্দ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেও প্রত্যাহারের সময়সীমা অতিক্রম করায় তাঁর আনারস প্রতীকটি থেকে যায় ব্যালট পেপারে । প্রাপ্ত ফলাফলে মো: শামছুর রশিদ(রিক্সা) পেয়েছিলেন ১০০২৪ ভোট, মো: ইসলাম উদ্দিন খান(মাছ) ১১০৩৫ ভোট, মো: আ: মোতালিব আকন্দ(চাকা)-১৫০৪৭ ভোট এবং ঘাতকদের হাতে নির্মমভাবে নিহত  মরহুম ফুরকান উদ্দিন সেলিম মির্ধা পেয়েছিলেন ৪০৮২১ ভোট। তবে এবারের নির্বাচনে গতবারের উল্লেখযোগ্য দুজন প্রাথী আ: মোতালিব আকন্দ ও মো: ইসলাম উদ্দিন খান নির্বাচন থেকে সরে আসলেও মাঠে রয়ে গেছেন গতবারের আরেক প্রার্থী শামছুর রশিদ।
প্রার্থীদের সবাই নিজ নিজ ইউনিয়নের ভোট ব্যাংকের কথা মাথায় রেখেই নির্বাচনী হিসাব নিকাশ কষছেন। নির্বাচনের বর্তমান মাঠ পর্যায়ের অবস্থা সম্পর্কে  জানতে চাইলে দলীয় সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে সরে আসা প্রার্থী অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন বলেন, “নির্বাচনে এবার দুটি মেরুকরণ হয়েছে। স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়ায় নেতাকর্মী এবং সাধারণ ভোটারদের মাঝে এবার ব্যাপক মতের অমিল লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ফলে নেতাকর্মীদের সাথে সাধারণ ভোটারদের দূরত্ব বাড়তে থাকলে নির্বাচনী ফলাফল সকল হিসাব নিকাশ বদলে দিতে পারে।”

কোন মন্তব্য নেই: