ডেস্ক রিপোর্ট : ময়মনসিংহের ধোবাউড়া চীনামাটির খনি থেকে লাখ লাখ টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে সাদামাটির অবৈধ উত্তোলন ও লুটপাট অব্যহত রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ এগ্রো সিরামিক কোম্পানী নামমাত্র ডিও লেটার ইস্যু করে হাজার হাজার বস্তা চীনামাটি উত্তোলন ও বিক্রির খবরটি গণ মাধ্যমে ফলাও করে প্রচার হলে জেলা প্রশাসক মোস্তাকিম বিল্লাহ ফারুকীকে সভাপতি এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামানকে সদস্য সচিব করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। গত ২ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে চীনামাটির অবৈধ উত্তোলন ও রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা বন্ধ হবে এমনটাই আশা করা হয়েছিল। কিন্তু স্বত:স্ফুর্ত তদন্তের শুরুটা হঠাৎ করেই সাময়িক ভাবে বন্ধ করে দিতে সক্ষম হয় এগ্রো সিরামিক কোম্পানীর মালিক গোলাম কিবরিয়া ওরফে তপন। তদন্তের কাজ শুরুর কয়েকদিনের মধ্যেই আবার নতুন ডিও হয়েছে মর্মে প্রায় ২০ হাজার বস্তা চীনামাটি দুর্গাপুর উপজেলার কামারখালি দিয়ে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। যদিও উপজেলা নির্বাহী অফিসার নতুন কোন ডিও’র কপি হাতে পাননি বলে তখন নিশ্চিতও করেছিলেন।
চীনামাটির অবৈধ উত্তোলন ও রাজস্ব ফাঁকি বন্ধের লক্ষ্যে খনি এলাকায় যারা দীর্ঘদিন ধরে এই সিরামিক কোম্পানীর দৈবশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করে আসছে তাদের মাঝে এখন বিরাজ করছে শুধুই হতাশা। এদিকে এগ্রো সিরামিক কোম্পানীর মালিক গোলাম কিবরিয়া সরকারী বিভিন্ন দপ্তরে ম্যানেজ বানিজ্যের জন্য প্রাণপণে ছুটাছুটি করছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। পাশাপাশি থেমে নেই খনন কাজ। খনি এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, তদন্তকাজ শেষ না হতেই আবারও অবৈধভাবে বিক্রির লক্ষ্যে চীনামাটি উত্তোলন অব্যহত রয়েছে। নতুন করে ডিও লেটার ইস্যু হোক বা না হোক যে কোন সময় বস্তাবন্দী করে কামারখালি রাস্তা দিয়ে সরিয়ে নেওয়া হতে পারে এসব মাটি।
এ ব্যাপারে ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান জানান, প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এত কিছুর পরও সিরামিক শিল্পের মূল্যবান খনিজ চীনামাটি লুটপাটের মাধ্যমে এগ্রো কোম্পানীর রাজস্ব ফাঁকির এই চলমান মহড়া বন্ধে সরকারি প্রচেষ্ঠা ব্যর্থ হবে কী-না এমনটাই আশংকা করছে এলাকার সচেতন মহল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন