বুধবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০১৫

ধোবাউড়ায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ -২০১৫ উদযাপন


স্টাফ রিপোর্টার : ধোবাউড়ায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ -২০১৫ উদযাপিত হয়েছে। বুধবার উপজেলা শিক্ষা অফিসের উদ্যোগে বেলা ১১টায় একটি বিশাল র‌্যালী উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ। র‌্যালীতে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা , উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানদ্বয়, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশগ্রহন করে। এবারের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল “শিক্ষিত মা এক সুরভিত ফুল, প্রতিটি ঘর হবে এক একটি স্কুল।”
র‌্যালী শেষে সহ: উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান। মঞ্চে আরো উপবিষ্ট ছিলেন-ভাইস চেয়ারম্যান মো: মোস্তফা কামাল হোসেন খান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসিমা খাতুন রুচি, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আতাহার আলী, ধোবাউড়া মাহলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মো: হেলাল উদ্দিন, ধোবাউড়া বিন্দুবাসিনী বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল প্রমুখ। শুরুতেই প্রাথমিক শিক্ষা-সমস্যা ও করণীয়: প্রেক্ষিত ধোবাউড়া, বিষয়ের বিষয়ের উপর লিখিত গবেষণামূলক প্রবন্ধ পাঠ করে শোনান মোহাম্মদ মুরাদ হোসেন। পাঠ শেষে প্রবন্ধ তৈরিতে তাকে সহযোগিতা করার জন্য রানীগাঁও সরকারী প্রথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সলিল দত্তকে ধন্যবাদ জানান। পরে মঞ্চে উপবিষ্ট সকলেই ধারাবাহিকভাবে তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সমাপনী বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয়ের মর্মার্থ উপলব্দি করে শিশুদের শারিরিক, মানসিক, মানবিক, সামাজিক, নৈতিক, নান্দনিক, আধ্যাতিœক ও আবেগিক বিকাশ সাধন এবং তাদের দেশাত্ববোধে, বিজ্ঞান মনষ্কতায়, সৃজনশীলতায় ও উন্নত জীবনের সপ্ন দর্শনে উদ্বুদ্ধ করতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের প্রতি আহবানের পাশাপাশি ধোবাউড়ায় ঝাঁকজমক পূর্ণ ভাবে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালনে বিশেষ উদ্যোগী ভূমিকার জন্য উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: আতাহার আলী, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো: মনোয়ার হোসেন, মুরাদ হোসেন এবং মিলন মিয়াকে ধন্যবাদ জানান।
জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বিশেষ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় শিক্ষা উপকরণ, দেশীয় ঐতিহ্যের পিঠার স্টল ও পথ নাটকের জন্য একটি গ্রীনরুম স্থাপিত হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন এবং রসে-গন্ধে ও ঐতিহ্যে ভরা দেশীয় পিঠার স্বাদ উপভোগ করেন। বৃহষ্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের পর সেরা শিক্ষক, সেরা এসএমসি এবং সেরা স্টল নিবার্চিতদের মাঝে পুরষ্কার প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য ধোবাউড়া উপজেলায় পাতাম সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেনী পর্যন্ত পাঠদান কার্যক্রম চালু রয়েছে। তবে  শিক্ষক সল্পতা পূরণ সাপেক্ষে অন্যান্য প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতেও ৬ষ্ট শ্রেণী থেকে পর্যায়ক্রমে ৮ম শ্রেণী পর্যন্ত চালু  করার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিবেচনায় রয়েছে বলে জানা গেছে।