রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৪

ধোবাউড়ায় ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বেপরোয়া খারিজ বানিজ্য- বেকায়দায় পড়েছে অনেক জমির মালিক

ডেস্ক রিপোর্ট: ধোবাউড়া উপজেলার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের সদ্য ময়মনসিংহে বদলী হওয়া ভূমি কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবিরের বিরুদ্ধে খারিজ সংক্রান্ত দুর্নীতির লিখিত অভিযোগের খবর পাওয়া গেছে। ভূক্তভোগী বালিগাঁও নিবাসী মো: আব্দুল গনি গত ২১ সেপ্টেম্বর রবিবার ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর এ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ভূক্তভোগী অাব্দুল গনি জানান, ‌'গত রমজান মাসে আমার সাড়ে দশ কাটা জমি খারিজের জন্য ঘোষগাঁও  ভূমি কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবির এর দ্বারস্থ হই। তিনি আমার কাছে ৫০০০/-টাকা(পাঁচ হাজার টাকা) দাবি করলে আমি ৩০০০/-টাকা দিয়ে খারিজ করানোর জন্য অনুরোধ করি। তিনি আমাকে দ্রুত খারিজ করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। চলতি মাসে তিনি ময়মনসিংহে বদলী হয়ে চলে গেলে আমি মোবাইলে খারিজের জন্য বারবার তাঁর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করি। তিনি বরাবরই আমার ফোন রিসিভ করে বলেন আমি কাল ঘোষগাঁও  এসে তোমার খারিজ দিয়ে দিব। কিন্তু আজ অবদি তিনি আসেননি। গত ১৮/০৯/২০১৪ ইং বৃহ:বার ঘোষগাঁও ইউনিয়নের চন্দ্রকোনা  নিবাসী মো: আব্দুল কাদির(৩০)  আমার বাড়ি গিয়ে বলে যে, তোমার খারিজ হুমায়ন স্যার আমার কাছে দিয়ে দিয়েছেন। স্যারকে আরো ২০০০/- টাকা দিতে হবে। তুমি আমার সাথে পরে যোগাযোগ করো। এই বলে সে চলে যায়। আমি হুমায়ুন স্যারের সাথে ফোনে কথা বললে তিনি জানান আমি যেন কাদিরের সাথে কথা বলি। পরদিন শুক্রবার আমি ১০০০/- টাকা  ধার করে আবারও কাদিরের বাড়ীতে গিয়ে তাকে দিতে চাইলে সে তা নেয়নি। বরং পুরো দুই হাজার টাকা না দিলে আমার খারিজ ময়মনসিংহে অবস্থানরত ভূমি কর্মকর্তা হুমায়ুন সাহেবকে ফেরত দেওয়ার হুমকী দেন। এ নিয়ে গত কয়েকদিন ধরে আমি চরম ভূগান্তির মধ্যে আছি।' 
এ ব্যাপারে  ভূমি কর্মকর্তা মো: হুমায়ুন কবিরের কাছ থেকে জানতে তার মোবাইলে কল করলে তিনি খারিজ এর মূলকপি দিয়ে দিবেন বলে জানান। খারিজ বাবদ আরো কোন টাকা দিতে হবে কী না জানতে চাইলে তিনি বিরক্ত হয়ে কল কেটে দেন। তবে ভূমি কর্মকর্তার মিডিয়া হিসেবে পরিচিত মো: আব্দুল কাদিরের সাথে কথা বলে টাকা লেনদেনের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া যায়। 

উল্লেখ্য বদলী হয়ে যাওয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা হুমায়ুন এর হাতে এখনও রয়ে গেছে ঘোষগাও ইউনিয়নের অনেকের খারিজের কাগজ এমনটাই বলছেন এলাকার জমির মালিকরা।  

কোন মন্তব্য নেই: