রবিবার, ২৯ মার্চ, ২০১৫

ধোবাউড়ায় শোডাউন-মিছিল-সমাবেশ

ডেস্ক রিপোর্ট: ধোবাউড়া উপজেলায়  রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে থাকায় প্রশাসন একচেটিয়াভাবে এ সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে বলে জনশ্রুতি আছে। অনেকেই বলেন, বিভিন্ন দিক থেকে  উপজেলা পরিষদকে ঘুমন্তপুড়িতে জিইয়ে রাখার পাঁয়তারর পাশাপাশি রাজনৈতিক ভাবে নিজেদের কর্তৃত্ব রক্ষা বা প্রতিষ্ঠায় মরিয়া ধোবাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ এর বেশ কিছু নেতাকর্মী। ২৯ মার্চ রবিবার ধোবাউড়ায় বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে শোডাউন, মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফুরকান উদ্দিন সেলিম মির্ধার হত্যা মামলায় উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সাংগঠনিক সম্পাদক মো: শওকত উসমান চার্জশিটভূক্তির কোন সুনির্দিষ্ট কারণ খুজেঁ না পেয়ে এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে বেশ কিছু ব্যানার পাবলিক প্লেসগুলোতে টানিয়ে রাখেন। কিন্তু :ধোবাউড়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ এর নেতা মরহুম সেলিম মির্ধার একনিষ্ট ভক্ত মো: সানাউল্লাহ  এসব ব্যানার রাতের বেলা ছিঁড়ে ফেলেন এমন অভিযোগে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হন মো: শওকত উসমান এবং লোকজন নিয়ে সানাউল্লাহকে ধরতে উপজেলা পরিষদের সামনে মহড়া দেন। সানাউল্লাহ উপজেলা পরিষদের দোতলার একটি কক্ষে অবস্থান নেন। এরই মধ্যে বাতাসে খবর রটে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে ভীতি প্রদর্মন বা আক্রমন করার উদ্দেশ্যে এই মহড়া শুরু হয়েছে ফলে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ জনগনের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। যদিও উপজেলা চেয়ারম্যান তখন পরিষদে আসেন নি। কয়েক মিনিট অবস্থান করার পর শওকত উসমান  বাসায় ফিরে যান। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে এবং পরিস্থিতি শান্ত হয়। এ ব্যাপারে শওকত উসমানের পক্ষ থেকে বলা হয়, ব্যানারে বঙ্গবন্ধুর ছবি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও আমাদের প্রতিমন্ত্রীর ছবিও ছিল। আমাকে অপমান করলে আমি বিষয়টি ক্ষমার চোখে দেখতাম। কিন্তু যাদের আদর্শ ও নীতি বুকে লালন করে রাজনীতি করি তাদেরকে অপমান করেছে বিধায় আমি স্থির থাকতে পারিনি। তিনি আরো বলেন, কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার কোন উদ্দেশ্য আমার নেই। এদিকে ঘটনাটি সানাউল্লাহই ঘটিয়েছে কিনা বা ঘটিয়ে থাকলে তখন সে মাতাল ছিল কিনা এ বিষয়ে মিশ্র খবর পাওয়া গেছে।  একাধিক সূত্র জানিয়েছে, সানাউল্লাহর ঘনিষ্ট কেউ তাকে নেশা খাইয়ে মাতাল করে হয়ত এ ঘটনা ঘটাতে ইন্ধন জুগিয়েছে । 
এদিকে নাটকের প্রথম পর্ব মঞ্চস্থ হওয়ার পর শুরু হয় ২য় পর্ব। বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে উপজেলা চেয়ারম্যানের সমর্থক আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীবৃন্দ  জড়ো হয় উপজেলা পরিষদের সামনে। তারা উপজেলা পরিষদের সামনে এ ধরনের ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টির বিরুদ্ধে বিভিন্নভাবে স্লোগান দিতে থাকে এবং বিক্ষোভ মিছিল বের করে। পরে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, আইন আইনের গতিতে চলবে। আর যে কোন অপরাধের বিচারের জন্য দেশে আইন আছে। তিনি আরো বলেন,  আমি জন্মসূত্রে আওয়ামীলীগ আর আমার বাবা ছিলেন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। তাই কেউ দলীয় পদ হারানোর ভয়ে অযথাই কাতরাবেন না। তিনি সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশ বজায় রেখে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনগনের কল্যানের কথা ভাবতে দলীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি উদাত্ব আহ্বান জানান।


কোন মন্তব্য নেই: