ডেস্ক রিপোর্ট: ১৫ মার্চ অনুষ্ঠিত ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনাকে কেন্দ্র করে প্রশাসন ও সরকারী দলের মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বেড়েই চলেছে। এ নির্বাচনে সরকারদলীয় প্রার্থী এডভোকেট আব্দুল মান্নান আকন্দ(মোটর সাইকেল) এবং আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ মজনু মিয়া(ফেজ টুপি) হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে মাত্র ১৭৯ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয় মজনু মিয়া। ফলাফল ঘোষনার সময় এডভোকেট আব্দুল মান্নান আকন্দ একটি ভোটকেন্দ্র সম্পর্কে সহকারি রিটার্নিং অফিসার বরাবর দরখাস্থ দিলেও তা আমলে না নিয়ে ফলাফল ঘোষনা করায় ক্ষিপ্ত হয় সরকারদলীয় সমর্থকরা। পরবর্তীতে উক্ত কেন্দ্রে পরদিন সকাল সাড়ে ৭টায় একটি খালি ব্যালট বাক্স পাওয়া গেলে এ নিয়ে শুরু হয় তুমূল হৈচৈ। মানব বন্ধন ও মিছিলের মাধ্যমে ফলাফল বাতিল করে একটি কেন্দ্রে পূনরায় নির্বাচনের দাবিতে চলে একর পর এক আন্দোলন। এরই ধারাবাহিকতায় আসন্ন ২৬ মার্চ মহান স্বাধীণতা দিবস উদ্যাপন নিয়ে উপজেলা প্রশাসন ও সরকারদলের মধ্যে আলাদা কর্মসূচী ঘোষনা করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে ধোবাউড়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পড়েছেন চরম বিপাকে। অনেকেই উভয়মুখী চাপে প্রায় দিশেহারা। সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে সরকারদলীয় অনেক নেতাকেই সারা দিতে হবে প্রশাসনের ডাকে। আবার দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য দলীয় প্রোগামে উপস্থিত থাকতে হবে। উপজেলায় দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য সবাই মিলে মিশে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ২৬ মার্চ মহান স্বাধীণতা দিবস পালন। কিন্তু এবার তা না হওয়ার দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন এলাকাবাসী। প্রশাসন ও সরকার দলীয় সমর্থকদের মধ্যে দ্রুত সমজোতা হবে এমনটাই আশা করছেন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে ইচ্ছুক সাধারন জনগন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সুশীল সমাজের লোকজন।
এদিকে কেউ কেউ বলছেন, একই উপজেলায় দুটি আলাদা অনুষ্ঠান হলে বর্তমান সরকারের সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি যদি উপস্থিত হন তাহলে তিনি প্রথমে কোন মঞ্চে আসন গ্রহণ করবেন তাই এখন দেখার বিষয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে স্বাধীণতা দিবস উদ্যাপনের জন্য আলালা আলাদা দাওয়াতপত্র বিতরণের খবর পাওয়া গেছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন