বুধবার, ২ জুলাই, ২০১৪

ধোবাউড়ায় সড়ক দুর্ঘটনার কবলে আনন্দ স্কুলের ৮ শিক্ষার্থী- ঝলসে গেছে ৫ শিক্ষার্থীর শরীর

ঘটনার তারিখ:-৩০ জুন, ২০১৪। স্থান:- কৃষ্ণপুর চৌরাস্তা। সময়: বিকাল -০৩টা।
ধোবাউড়া উপজেলার প্রত্যন্ত ইউনিয়ন ১ নঙ দক্ষিণ মাইজ পাড়া থেকে এই বর্ষায় রস্ক প্রকল্প ফেইজ-২ এর আনন্দ স্কুলের শিক্ষক- শিক্ষিকারা উপবৃত্তি নেওয়ার জন্য ধোবাউড়া উপজেলা সদরে আসতে বাধ্য হয়। পূর্বে স্ব স্ব ইউনিয়নে গিয়ে ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর ও ব্যাংকার টাকা বিতরণ করলেও ব্যতিক্রম হয় দক্ষিণ মাইজপাড়া, পোড়াকান্দুলিয়া ও গামারীতলা ইউনিয়নের ক্ষেত্রে। ধোবাউড়া উপজেলা সদরে এসে উপবৃত্তি নেওয়ার আদেশ পেয়ে আনন্দস্কুলের শিক্ষার্থীরা ধোবাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে ঝুঁকির বিষয়টি উত্থাপন করে সুবিবেচনার প্রত্যাশা করলেও কোন সুফল হয়নি। ফলে বৃষ্টির মধ্যে বাধ্য হয়েই অবৈধ নছিমনযোগে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা আসতে থাকে ধোবাউড়ায়। বিকেল তিনটায় ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদ হলরুম থেকে উপবৃত্তি নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কৃষ্ণপুর চৌরাস্তায় যানটি উল্টে যায়। ফলে প্রতিবন্দী আমির হোসেন (১০) সহ আরো ৪ জন ইঞ্জিনের গরম পানিতে ঝলসে যায়। আহত হয় আরো ২জন। তাৎক্ষনিকভাবে ধোবাউড়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চলে প্রাথমিক চিকিৎসা।এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে কেউ আসেনি প্রথম দিন। উপজেলা প্রশাসনের বড় কর্তাদের দেখা মেলেনি হাসপাতালে। স্থানীয় নেতৃবৃন্দের প্রয়োজন মনে হয়নি এই শিক্ষার্থীদের জীবনের ঝলসানো অধ্যায়টা একবার দেখে যেতে। অনেকেই মানবিক টানে এসছেন শুধু এক নজর দেখতে। অবস্থার খোজ খবর নিতে গিয়ে পরদিন বিকেলে অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে গুরুতর আগত রেফার্ডকৃত ৩জন শিক্ষার্থীকে ১২০০টাকা সরকারি এম্বুলেন্স ভাড়া দিয়ে ও হাত খরচের কিছু টাকার ব্যবস্থা করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওরা গরীব অসহায় অিভিভাবকের সন্তান। এদের মধ্যে একজন রয়েছে প্রতিবন্ধী। এ মর্মান্তিক ঘটনায় দায় কে নিবে??????
এদিকে দুর্ঘটনার খবরে জনতার মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করতে শুরু  করলে হঠাৎ করেই বন্ধ করে দেয়া হয়া উপবৃত্তি বিতরনের কাজ। ফলে অনেক শিক্ষার্থী উপবৃত্তি না নিয়েই ফেরত যেতে বাধ্য হয়। অপরদিকে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ৩০জুন হিসাব শুন্য দেখাতে ১১টি আনন্দ স্কুলের সম্পূর্ণ উপবৃত্তির টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেয়। এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক মহলে চলছে চরম ক্ষোভ। একদিকে দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের শিক্ষার্থীদের জলসানো দেহের করুণ দৃশ্য আর অপরদিকে একই ইউনিয়নের ১১টি স্কুলের শতাধিক শিক্ষার্থীর প্রাপ্য উপবৃত্তির টাকা ফেরত যাওয়াটা কোন ভাবেই মেনে নিতে পারছেনা ঐ ইউনিয়নের জনগন।

কোন মন্তব্য নেই: