বুধবার, ২৩ জুলাই, ২০১৪

ধোবাউড়ার পোড়াকান্দুলিয়া খাদ্য গুদামে বিপুল পরিমাণ নষ্ট ও পঁচা চাল দূর্নীতির হোতা গুদাম কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম সম্রাট


ধোবাউড়া প্রতিনিধি: ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া খাদ্য গুদামে বিপুল পরিমাণ নষ্ট ও পঁচা চালের সন্ধান মিলেছে। পবিত্র ঈদ উপলক্ষ্যে গরীব-অসহায়-দুস্থদের মাঝে ভিজিডি ও ভিজিএফ বিতরণ উপলক্ষ্যে এ চাল মজুদ করা হয়। গত ২১ জুলাই থেকে শুরু হয় এই উপজেলায় ভিজিএফ এর চাল বিতরণের কাজ। উপজেলার বাঘবেড় ও ধোবাউড়া সদর ব্যতীত বাকী ০৫টি ইউনিয়নের জন্য বরাদ্দকৃত চাল সরবরাহ করা হয় পোড়াকান্দুলিয়া খাদ্যগুদাম থেকে। চাল বিতরণের শুরু থেকেই নিম্নমানের চালের ব্যাপারে গুঞ্জন শুরু হয়। পরে সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায় রাতের আধাঁরে এই গুদামে চলে তেলেসমাতি কান্ড। কখন ভালো চাল বেড়িয়ে যায় আবার কখন খারাপ চালগুলো গুদামে ঢুকে তা অজ্ঞাত কারণে বলতে পারেনা কেউ। ইতিমধ্যে ০৫টি ইউনিয়নের জন্য ভিজিএফ এর বরাদ্ধকৃত ২৬১.২৯ মে:টন চাল পোড়াকান্দুলিয়া খাদ্য গুদাম থেকে সরবরাহ করা হয়েছে। আর এ চাল বিতরণ করতে গিয়ে বিভিন্ন ইউনিয়নে জনসাধারণের তোপের মুখে পড়েছে ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যরা। গতকাল একসাথে তিনটি ইউনিয়নে চলে ভিজিএফ এর চাল বিতরণ। নষ্ট চাল বিতরণ করার খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: সামছুল হক তাৎক্ষনিকভাবে গোয়াতলা ইউনিয়নে পরিদর্শনে যান। সেখানে খাবারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী চাল বিতরণের সত্যতা পেয়ে চালের নমুনা সংগ্রহ করেন। অন্যান্য ইউনিয়ন পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের ডেকে যে কোন প্রকার অনিয়মের ব্যাপারে সতর্ক করে দেন  এবং ২৪ জুলাই থেকে  বিভিন্ন ইউনিয়নে ভিজিডি কার্ডধারীদের জন্য সরবরাহকৃত নষ্ট চাল ফেরত নিয়ে ভালোমানের চাল সরবরাহের কথা বলেন।
বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়, গুদাম কর্মকর্তা মো: রেজাউল করিম সম্রাট মোটা অংকের টাকা উৎকোচের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গ থেকে নিম্ন মানের চাল গুদামে সরবরাহ করেছেন। তাছাড়া অনেকেই বলছেন গুদাম কর্মকর্তা নিজেই এ ব্যবসার সাথে জড়িত। এ ব্যাপারে জানতে গুদাম কর্মকর্তার সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
তবে দরিদ্র অসহায় সাধারণ ভিখারী যারা ভিজিএফ এর ১০কেজি চালকে ‘সরকারি ফেতরা’ মনে করেন, তাদের অনেকেই সরকারি ফেতরার চালের পরিবর্তে পচাঁ চাল দাতা ও তাদের দোসরদের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান। পাশাপশি ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সচেতন মহলের দাবি, দারিদ্রের সাথে বিদ্রুপকারী গুদাম কর্মকর্তার অবৈধভাবে সংগ্রহীত পচাঁ  ও নষ্ট হয়ে যাওয়া চাল যেন আর কখনও ভিজিএফ বা ভিজিডি কার্ডধারীদের ভাগ্যে না জুটে । পাশাপাশি গুদাম কর্মকর্তার মুখোশ উন্মোচন করতে মিডিয়া কর্মীদের সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান। (চলবে)

কোন মন্তব্য নেই: