ডেস্ক রিপোর্ট: ধোবাউড়া-শিবগঞ্জ ভায়া চারুয়াপাড়া চেইনএজ (৩০০০মি: থেকে ৭০০০মি:) ৪ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজে ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় সংস্কারের নামে রাস্তাটির বিভিন্ন অংশে মূল প্রলেপের উপর কোন রকমে বালু ও বিটুমিনের প্রলেপ দিয়ে কালচে রং করা হয়েছে মাত্র। রাস্তার অধিকাংশ স্থানে উচু নিচু থাকায় যানবাহন চলাচল করতে ব্যাপক সমস্যা হচ্ছে। এই রুটে চলাচলকারী গাড়ীর ড্রাইভার ও যাত্রীরা জানান, কৃষ্ণপুর বাজার থেকে কলসিন্দুরের দিকে যেতে রাস্তাটি খুবই বিপজ্জনক। উঁচুনিচু অবস্থার কারণে এই রাস্তাটিতে গাড়ী চালানোর সময় বিশাল ঢেউয়ের সৃষ্টি হয়। ফলে প্রায়ই এখানে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে। খবর নিয়ে জানা গেছে উপজেলা প্রকৌশলী মো: ফজলুল হক এর প্রত্যক্ষ মদদেই ঘটছে এসব অনিয়মের ঘটনা। আর এসব অনিয়ম বাস্তবায়নে মূল ভূমিকায় রয়েছেন উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: ইমাম হোসেন।
এ ব্যাপারে মোবাইল ফোনে উপ সহকারী প্রকৌশলী মো: ইমাম হোসেনকে কল করলে তিনি উগ্রতার সঙ্গে বলেন, কোন প্রকার সাক্ষাৎকার নিতে হলে বসের(উপজেলা প্রকৌশলী) কাছ থেকে নেন। আমি যা করার ভালোই করেছি। পরদিন (গতকাল) উপজেলা প্রকৌশলী মো: ফজলুল হক এর অফিসে গিয়ে ঠিকাদার সাইফুল ইসলামকে একান্ত আলাপচারিতায় ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। আর এ সময় উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে রাস্তাঘাট ও স্কুলগুলোর নিম্নমানের কাজ সম্পর্কে বক্তব্য চাইলে পাশে বসা ঠিকাদার আওয়ামীলীগ নেতা সৈয়দ আহমদ হোসেনের নিকট আত্মীয়( দাবীদার) মো: সাইফুল ইসলাম প্রচন্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং ড্যামকেয়ার মনোভাব পোষণ করেন।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: ফজলুল হক তার মুখোশের আড়ালে এই উপজেলায় বিভিন্ন নির্মাণকাজে অনিয়মের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতিনিয়ত আতœসাৎ করে নিয়ে যাচ্ছেন। টাকার নেশায় অন্ধ এই প্রকৌশলী রাতারাতি কোটিপতি বনে যাওয়ার নেশায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে আঁতাত করে নিম্নমানের কাজগুলোকে বৈধতা দেওয়ার ক্ষেত্রে তার ভূমিকা অপরিসীম।
অপরদিকে ধোবাউড়া উপজেলায় নির্মাণাধীন কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও পূর্ব সোহাগীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (১৫০০ বিদ্যালয় প্রকল্প) ঘুরে নির্মাণকাজে ব্যাপক অনিয়ম পাওয়া গেছে। এলাকাবাসীর দাবি মনভুলানো নতুন প্রাইমারী স্কুল ভবনগুলো যেন রানা প্লাজার মত আমাদের অবুঝ সন্তানদেন মৃত্যুবূপে পরিণত না হয়। গত ০৪ মার্চ নির্মাণাধীন কলসিন্দুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর ঢালাই কাজের সময় তদারকির কাজে নিয়োজিত কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীকে প্রকল্প স্থলে দেখা যায়নি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে দায়িত্বে নিয়োজিত সার্ভেয়ার জাহাঙ্গীর জানান, অন্য একটি সরকারী কাজে ব্যস্ত থাকায় হেড মিস্ত্রিকে বলেছিলাম ঢালাই কাজ সম্পন্ন করে ফেলতে। আর অদৃশ্য কারণে নিরব ভূমিকায় রয়েছে ঐসব স্কুলের ম্যানেজিং কমিটি। নির্মাণাধীন সকল বিদ্যালয় ভবন নির্মানের তথ্য মিডিয়ায় সরবরাহের জন্য ইতিমধ্যে একটি বিশেষ টিমকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন