সোমবার, ২৪ নভেম্বর, ২০১৪

ধোবাউড়ায় প্রাইমারী সমাপনী পরীক্ষার আমেজ-আলোচনার শীর্ষে রস্ক প্রকল্পের আনন্দ স্কুল


ডেস্ক রিপোর্ট: ধোবাউড়া উপজেলার ০৭টি ইউনিয়নের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সমূহের  ৫২০০ শিক্ষার্থী  রস্ক প্রকল্পের ১৭৩৬ জন এবং এবতেদায়ী মাদ্রাসার ২৩৩ জন ২০১৪ সনের সমাপনী পরীক্ষার জন্য ডি,আর ভূক্ত হয়। শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়  সমাপনী পরীক্ষায় সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের  ৪৬৯ জন শিক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেননি। তাছাড়া আনন্দ স্কুলের ১৭৩৬ জনের মধ্যে ২৩০ জন এবং এবতেদায়ীর ২৩৩ জনের মধ্যে ৬৭ জন সমাপনী পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। অত্র উপজেলায় সাতটি কেন্দ্রের অধীনে অনুষ্ঠিত বৃহৎ এই পাবলিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।  তবে সব মিলিয়ে ধোবাউড়া উপজেলায় বর্তমানে চলছে ক্ষুদে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মিলনমেলা।
উপস্থিতির তুলনায় অনুপস্থিতির সংখ্যা অতীব নগন্য হলেও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান জানায়, বেতনভাতাদি না পাওয়া অনেক আনন্দ স্কুলের শিক্ষার্থীরা বিশেষ করে সময়মতো উপবৃত্তি, পোষাক ইত্যাদি না পাওয়ায় অভিভাবকরা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অংশ নিতে দেয়নি। আর বেতন ভাতাদি না পাওয়া আনন্দ স্কুলের শিক্ষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্প পরিচালকের সকল প্রকার বকেয়া বেতন ভাতা, উপবৃত্তি, উপকরণ প্রদানের আশ্বাসেই তারা সর্বাত্মক চেষ্টা ও শ্রমের বিনিময়ে শিক্ষার্থীদেরকে সমাপনী পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করানোর মাধ্যমে ধোবাউড়ায় রস্ক প্রকল্পের (আনন্দ স্কুলের) সাফল্যের  জন্য সচেষ্ট রয়েছেন। তবে চতুর্থ শ্রেণীর যেসব আনন্দ স্কুল বর্তমানে রয়েছে তাদের জন্য অশনী সংকেত হতে পারে ডিআরভুক্ত শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকার বিষয়টি।
আর এ ক্ষেত্রে ধোবাউড়া উপজেলাটি দুর্গম এলাকা হিসেবে নতুন করে আরো আনন্দ স্কুল স্থাপনের ব্যাপক চাহিদা থাকলেও সঠিক জরিপ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বিধির অনুস্মরণ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারলে আনন্দ স্কুল শতভাগ সফলতার মুখ দেখবে আর শিক্ষার আলো পাবে ঝরে পড়া শতশত শিশু-কিশোর এমনটাই মনে করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ধোবাউড়া শাখার সভাপতি এডভোকেট নীহাররঞ্জন পাল নেপাল।
এদিকে আনন্দ স্কুলের ট্রেনিং কো-অর্ডিনেটর মো: শাহজালাল এর বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা অফিসের সাথে সমন্বয় না করে একক কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠায় তৎপরতা অব্যহত রাখার খবর পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষক জানান, নতুন আনন্দ স্কুল স্থাপনে গোপনে ঘুষ বানিজ্যের একটি পায়তারা চলছে। তাই কোন প্রকার লিখিত নোটিশ ছাড়াই হঠাৎ করে স্কুল জরিপ কাজ অজ্ঞাত কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। 

উল্লেখ্য ধোবাউড়া উপজেলা সুশৃঙ্খলভাবে প্রতিটি কেন্দ্রে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত কোন কেন্দ্রে বহিষ্কার হওয়ার মতো কোন ঘটনা ঘটেনি।


কোন মন্তব্য নেই: