মঙ্গলবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৫

ধোবাউড়ায় অবৈধ বালু উত্তোলন-ইজারা আদায়ের নামে নিরব চাঁদাবাজি সরকারী পাবলিক টয়লেট ও ডাস্টবিন বেদখল

ইকবাল কবির মানিক : ধোবাউড়া উপজেলার গামারীতলা ইউনিয়নের কলসিন্দুর বাজারের উত্তরে নেতাই নদী থেকে অবৈধভাবে চলছে বালু উত্তোলন। জানা যায়, এই বালু মহালটির কোন ইজারা হয়নি। নেতাই নদীর এই বালুঘাট থেকে বিগত দিনে অবৈধভাবে উত্তোলিত হয়েছে লাখ লাখ ফিট বালু আর সরকারের নামে ইজারা নিয়েছেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এ নিয়ে কিছুদিন আগে স্থানীয় পত্রিকায় রিপোর্ট প্রকাশের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আনিসুজ্জামান খান সার্ভেয়ারকে পাঠিয়ে বালু উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ করতে সমর্থ হন। কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারো এই ঘাট থেকে চলছে বালু উত্তোলন ও সরবরাহ করা হচ্ছে বিভিন্ন নির্মাণাধীন রাস্তা সহ বসতবাড়ি ও বাজারের দোকানের ভিটে। তবে যারা কোন প্রভাবশালী ব্যাক্তিবর্গের নাম ভাঙ্গিয়ে প্রশাসনের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি দিচ্ছে তারা শুধু এখানেই থেমে নেই।  যেসব ব্যাক্তি নিজের জমি বা অন্যের জমি থেকে মাটি কিনে ঠেলাগাড়ী বা লড়ির মাধ্যমে বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে তাদেরকেও বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শণ করে আদায় করা হচ্ছে নির্দিষ্ট অংকের চাঁদা।  অভিযোগকারীরা হয়রানীর ভয়ে নাম প্রকাশে আপাতত: অনীহা প্রকাশ করলেও প্রশাসন বিষয়টি তদন্ত করলে তদন্তকাজে সহায়তা করবেন এমনটাই জানা গেছে।
তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আনিসুজ্জামান খান জানান, কলসিন্দুর বালুঘাটের ইজারা হয়নি। বন্যার ঝুঁকি বিবেচনায় নিয়ে স্থানটি ইজারার আওতায় আনা হয়নি। ব্রীজ ও বেড়িঁবাধ নির্মাণ হওয়ায় এখন ইজারার ব্যাপারে একটা প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। কেউ যদি এই ঘাট থেকে বালু উত্তোলন করে বা ইজারা আদায় করে এবং সাধারণ মানুষকে হয়রানি করে থাকে তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
দখলকৃত ডাস্টবিন ও পাবলিক টয়লেট
এদিকে কলসিন্দুর বাজারের মাছ মহালের উত্তরে যেখানে একটি সিনেমা হল ছিল সেই স্থানে একটি সরকারী ডাস্টবিন ও পাবলিক টয়লেট দখলে নিয়ে বাউন্ডারী করে বাসা নির্মানের খবর পাওয়া গেছে। সাধারণ মানুষ অজ্ঞাত কারণে দীর্ঘদিন মুখ খুলেনি। তবে এখন অনেকেই বলছেন ডাস্টবিন ও পাবলিক টয়লেটটি দখলমুক্ত করতে পারলে বাজারের মাছ মহালের আশেপাশের পরিবেশ অনেকটাই ভালো রাখা সম্ভব হতো।