মঙ্গলবার, ৬ জানুয়ারী, ২০১৫

ধোবাউড়ার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বহরভিটা ও বেতগাছিয়ায় সীমাহীন অরাজকতা-লুটপাট

স্টাফ রিপোর্টার:: ধোবাউড়া উপজেলার পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের বহরভিটা ও বেতগাছিয়ায় অরাজক পরিস্থিতি ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে। জানা গেছে পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্য আহম্মদ আলী(৫০) ২৫ ডিসেম্বর পূর্ব শত্র“তার জের ধরে প্রতিপক্ষের হাতে নির্মমভাবে নিহত হন। এ নিয়ে ধোবাউড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় এবং দ্রুত বিচারের দাবিতে সমাজ কল্যান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট প্রমোদ মানকিন এমপি ’র দ্বারস্থ হলে তিনি নিহতের পরিবারকে দোষীদের বিচারের ব্যাপারে দ্রুত আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে হত্যা মামলা দায়েরের পর থেকেই বহরভিটা ও বেতগাছিয়া গ্রামটি প্রায় পুরুষশুন্য হয়ে পড়ে। এই সুযোগে মরহুম আহম্মদ আলীর শুভাকাঙ্খি পরিচয়ে দুর্গাপুর উপজেলার কতিপয় আগ্রাসী লোক স্থানীয় কিছু লোকজনের সহায়তায় আসামীদের বাড়িতে পরদিন থেকেই চালায় লুটপাট এবং বাড়িঘর ভাংচুর, গরু-বাছুর, নগদ টাকা সহ ধানচাল এমনকি ঘরের আসবাব পত্র লুট করে নিয়ে যায় এমনটাই জানালেন ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজন। থানায় মামলা করছেন না কেন এমন প্রশ্ন করলে তারা জানান, থানায় গিয়ে মামলা দায়েরের চেষ্টা করছি এ কথা ওরা শুনলে আমাদেরকে জানে মেরে ফেলবে।
বিষয়টি নিয়ে ধোবাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এম এ হক এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, কেউ যদি সাহায্যের জন্য আমার কাছে না আসে বা আমাকে কোন অপরাধ সংগঠনের বিষয়ে অবহিত না করে সেক্ষেত্রে আমার কী করার আছে?  তবে এ রকম ঘটনা ঘটে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিব।
এদিকে হত্যা মামলার আসামী বয়ো:বৃদ্ধ হাজী আলাল মাস্টার ও পরিবারের অন্যান্য আসামীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন বলে দাবি করেছেন। তাদের ভাষ্যমতে, কোন অপরাধ না করেই প্রতিহিংসার শিকারে পরিণত হয়েছেন তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে সত্য উদঘাটন করে আসল হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে এবং পরিবারের সদস্যদের জান-মালের নিরাপত্তা বিধানের জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।।