রবিবার, ৩ মে, ২০১৫

ধোবাউড়ায় মরে গেছে শতশত একর জমির ধান; নিম্নমানের বীজকে দায়ী করল কৃষকরা

নিউজ ধোবাউড়া ডেস্ক: ধোবাউড়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বোরো মৌসুমে অনেক কৃষক গোলায় ধান তুলতে পারেনি। অনেকেই বলছেন, বীজ ব্যবসায়ীদের দ্বারা সরবরাহকৃত বিআর ২৮ ধান এর নিম্নমানের বীজ দিয়ে আবাদের ফলে ধান চিটা হয়ে যাওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। বিভিন্ন ইউনিয়নে সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় , উপজেলা জুড়ে শত শত একর জমির ধান চিটা হয়ে গেছে। ফলে ধানের পরিবর্তে খর কেটে ঘরে ফিরছেন কৃষকরা। ধোবাউড়া সদর ইউনিয়নের রাঁনীগাও এলাকায় বিআর ২৯ ধানে চিটা ধরার খবর পেয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য আবাদকারী কৃষক বর্তমান ইউপি সদস্য মো: আমজত আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেকের জমিতে বিআর ২৮ ধানে ধানের চিটা ধরার বিষয়টি সত্য। কিন্তু আমার তিন একর জমিতে বিআর ২৯ ধানের আবাদ করলেও চিটা ধরার কারণে ১০ শতাংশ ফসলও ঘরে তুলতে পারিনি। এদিকে ধানে চিটা ধরার ঘটনাটি বেশি দেখা গেছে উপজেলার ঘোষগাঁও, বাঘবেড় ও দক্ষিণ মাইজ পাড়া ইউনিয়নে। এ এলাকার কৃষকদের গোলার অর্ধেকের বেশি পূরণ হয় বোরো আবাদ থেকে। অনেক দরিদ্র কৃষক  জমিতে বিআর ২৮ ধানের আবাদ করে শস্যে চিটা ধরায় শুধুই দীর্ঘশ্বাস ফেলছেন। অনেকেই দাদন ব্যবসায়ী বা বিভিন্ন সমিতির কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে বোরো আবাদ করে এখন ফসল না পেয়ে দিশেহারার মতো প্রলাপ করছেন। এদিকে ধান মরে যাওয়ার ঘটনা ঘটায় কৃষকরা নিম্নমানের বীজকে দায়ী করলেও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন অন্য কথা। কৃষি কর্মকর্তা জানান, যারা নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিআর ২৮ ধান লাগিয়েছেন তাদের জমিতে রাতের বেলায় নিম্ন তাপমাত্রা আর দিনের বেলায় উচ্চ তাপমাত্রার প্রভাবে শস্যে চিটা ধরেছে। তিনি আরো বলেন, যে পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা উপজেলার মোট উৎপাদনের তুলনায় খুবই নগন্য।  অপরদিকে বিআর ২৮ ও ২৯ ধানে চিটা ধরার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা এবং প্রকৃত ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করার দাবি জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল। উল্লেখ্য উপজেলার সাতটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে কৃষি ভর্তুকি কার্ড বিতরণের কাজ চলছে। এ কার্ডগুলো থেকে প্রকৃত দরিদ্র ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বাদ না গেলে কিছুটা হলেও শান্তনা মিলবে এমনটাই দাবি ভূক্তভোগিদের।

কোন মন্তব্য নেই: