নিহত সৌমিক চন্দ্র সাহা |
নিজস্ব সংবাদদাতা:
গতকাল সোমবার ধোবাউড়া বাজার নিবাসী মনতোষ সাহার কলেজ পড়ুয়া একাদশ শ্রেনীর ছাত্র সৌমিক চন্দ্র সাহা(১৭) অজ্ঞাত কারণে সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০ টার দিকে সম্পূর্ণ অরক্ষিত ধোবাউড়া টিএন্ডটি টাওয়ারের উপরে উঠে নিচে লাফিয়ে পরে গুরুতর আহত হয়। পরে প্রথমে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে উপস্থিত চিকিৎসকরা তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সাথে থাকা লোকদের ভাষ্য মতে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয় সৌমিক সাহার।
অপর ঘটনায় ধোবাউড়া উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের পশ্চিম শালকোনা গ্রামে স্বামীর প্রহারে শিখা নামের(৩০) দুই সন্তানের জননী নিহত হয়েছে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সোমবার ভোর ৪টায় নিহত শিখার স্বামী রিক্সাচালক রতন মোবাইল ফোনে শিখার ভগ্নিপতি(ট্রাক ড্রাইভার) মাসুদকে বলে যে সামান্য ঝগড়ার কারণে শিখা আত্মহত্যা করেছে। পরে মাসুদ সকাল আনুমানিক সাতটায় শিখার মামাতো ভাই শালকোনা নিবাসী দেলোয়ার হোসেনকে ঘটনাটি জানালে দেলোয়ার ঘটনাস্থলে যায় এবং শিখার মৃতদেহ মাটিতে পড়ে থাকা অবস্থায় দেখতে পায়। উপস্থিত জনতার ভাষ্য মতে ঘটনার স্থানে ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যার কোন আলামত কেউ দেখেনি। এলাকাবাসী আরো জানান, প্রায়ই শিখার সাথে রতনের ঝগড়া বিবাদ হতো। আর মোবাইল ফোনে রতন একাধিক মেয়ের সাথে গোপন প্রণয়ে ব্যস্ত থাকতো। শিখা এর প্রতিবাদ করলে বেধরক মারধোর করতো। শিখার পারিবারিক সূত্র জানায়, রতন শিখাকে বিয়ের পূর্বে আরেকটি বিয়ে করলেও তা গোপন রেখে শিখাকে বিয়ে করেছিল। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে পারিবারিক মনোমালিন্যের সূত্রপাত ঘটে। খবর পেয়ে ধোবাউড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ থানায় নিয়ে আসে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন