সোমবার, ১৮ আগস্ট, ২০১৪

ধোবাউড়া উপজেলা ভূমি অফিস ও ইউনিয়ন তহসিল অফিস সমূহ ঘুষের হাট-বাজার




নিজস্ব প্রতিবেদক: ধোবাউড়া ভূমি অফিস এর অধীন তহসিল অফিসসমূহ এখন দুর্নীতি, অনিয়ম, দালালবাজি ঘুষ বাণিজ্যের স্বর্গরাজ্য। জালদলিল, টাকার বিনিময়ে খতিয়ান তৈরি, অনিয়ম, দুর্নীতির মাধ্যমে জমি দখল-বেদখলে সহযোগিতা, খুশিমতো জরিপ, নথিপত্র গায়েব হয়ে যাওয়া, দালালদের দৌরাত্ম্য, অসাধু কর্মকর্তা কর্মচারীদের উৎকোচ দাবি এবং আরও সব দুর্ভোগের সাতকাহন এখন ভূমি মন্ত্রণালয়ের এসব অফিস সমূহ। এতে নাকাল হচ্ছেন গ্রামের সহজ সরল মানুষ। নিজেদের দীর্ঘদিনের অর্জিত, অধিকারের জমি নিয়ে নয়ছয়ে পড়ে দারুণ দুর্ভোগে পড়েছেন তারা। টাকা খরচ করেও অনেক সময় তারা সুরাহা করতে পারছেন না তাদের সংকট সমস্যার।
ধোবাউড়া উপজেলা ভূমি অফিসের বিভিন্ন চেয়ারে বসা দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্তা ব্যাক্তিদের দাবিকৃত টাকা না দিলে  মানুষকে নানাভাবে হয়রানি করেন বলে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ। ভূমিসংক্রান্ত কাজে আসা লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভূমি অফিসটিতে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। টাকা না দিলে নানা অজুহাত দেখিয়ে সাধারণ লোকজনকে মারাত্মকভাবে হয়রানি করা হয়।
সরকার চাকুরী জীবিদের যথাযথ কর্মস্থলে সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য বার তাগিদ দেয়া সত্বেও নিয়মিত অফিস না করেই পোড়াকান্দুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের তহসিলদার সপ্তাহে দু-একদিন এসে ঘুষ -দুর্নীতির মাধ্যমে প্রতিমাসে  হাতিয়ে নিচ্ছেন হাজার হাজার  টাকা।  আবার  মাস শেষে ব্যাংক থেকে তুলে নিচ্ছেন বেতন ভাতা সহ সকল প্রকার সরকারী সুযোগ।
সংশ্লিষ্ঠ সুত্রে জানা যায় উপজেলার প্রতিটি ভূমি অফিসে খারিজ (নামজারী), ভূমি উন্নয়নের অতিরিক্ত কর আদায়, খাজনা দাখিলা খাস জমি বন্দোবস্তসহ সব ক্ষেত্রেই প্রতিটি ইউনিয়নের প্রত্যেকটি মৌজার শত শত সাধারণ মানুষকে প্রতিনিয়ত চরম ভাবে হয়রানীর শিকার হতে হয়। তার চাহিদা মোতাবেক উৎকোচ না দিলে কাজ হয় না। ভূমি অফিসে রয়েছে কর্মচারী নামধারী কয়েকজন দালাল। সব দালালদের খপ্পরে পড়ে সাধারণ মানুষ প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন আর্থিক ভাবেও। ভূমি সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন কানুন না জানার কারনেই মুলত সাধারণ মানুষ এমন প্রতারনা হয়রানীর শিকার হচ্ছে
আরো জানা যায়, খারিজ খতিয়ান নোটিশ জারির ক্ষেত্রে ১০ টাকা মুল্যের একটি কোট ফি প্রয়োজন হয় এবং ডিসিআর বাবদ সরকারী ফি প্রয়োজন ৪৫ টাকা। ভূমি অফিসের কর্মকর্তা তার পৌষ্য কর্মচারীরা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে জমি খারিজের ফি নিয়ে থাকে হাজার টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। আর সংশিষ্ট জমি মালিকদের দলিলে কোন রকম জটিলতা থাকলে তখন টাকার অংক বেড়ে দাড়ায় দশ গুন। (চলবে)

কোন মন্তব্য নেই: