রবিবার, ২ নভেম্বর, ২০১৪

ধোবাউড়ায় স্বাধীণতা পরবর্তী এই প্রথম ঝমকালোভাবে জাতীয় যুব ও সমবায় দিবস পালিত


 
ডেস্ক রিপোর্ট: গত শনিবার ধোবাউড়ায় উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা সমবায় ও যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর এর সম্মিলিত উদ্যোগে বিভিন্ন সরকারি, আধাসরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও এনজিওর অংশগ্রহনের মধ্যদিয়ে স্বাধীণতা পরবর্তী সময়ে এই প্রথম ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মাধ্যমে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় যুব ও সমবায় দিবস পালিত হয়। সকাল ১০টায় উপজেলা পরিষদের সামনে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীয় সমবায় পতাকা উত্তোলন করে ৪৩তম জাতীয় সমবায় দিবসের কর্মসূচির সূচনা করা হয়। পরে যুবক, যুবমহিলা, সমবায়ী বিভিন্ন সংগঠনের কর্মীদের অংশগ্রহণে একটি ব্যান্ডপার্টির তালে তালে বিশাল বণার্ঢ্য র‌্যালী উপজেলা বিভিন্ন সড়ক পদক্ষিণ শেষে মুক্তমঞ্চে এসে মিলিত হয়। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে মুক্তমঞ্চে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান খান এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় “লড়ছে যুব লড়বেই সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়বেই” এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোঃ ফয়েজ উদ্দিন ও ‘আর্থ সামাজিক নিরাপত্তায় সমবায়’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়ে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমবায় অফিসার মিজবাহ উদ্দিন আহম্মেদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তফা কামাল হোসেন খান, ভাইস চেয়ারম্যান (মহিলা) নাছিমা খাতুন রুচি, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ বিশ্বাস বাবুল, যুগ্ম সম্পাদক অধ্যক্ষ হেলাল উদ্দিন, ওয়ার্ল্ড ভিশন ধোবাউড়া এডিপির ম্যানেজার ব্রাউনসন দারিং,এসডিএফ এর কর্মকর্তা মোঃ হুমায়ুন কবীর, আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ডাঃ আসাদুজ্জামান সাগর প্রমুখ। বক্তারা এত বড় পরিসরে অনুষ্ঠানের আয়োজনে উদ্যোগ গ্রহন করায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে ধন্যবাদ জানান। অনুষ্ঠান শেষে  প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত তিন জন যুবকের মাঝে ১লক্ষ ৪০ হাজার টাকার চেক বিতরণ করা হয়। এছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি চলে বিটিভির জন্য শিল্পী বাছাই পর্ব।
এদিকে উক্ত অনুষ্ঠানে ধোবাউড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মজনু মিয়ার অনুপস্থিতি জনমনে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে উপজেলা চেয়ারম্যান জানান, উপজেলা পরিষদ ম্যানুয়েল-২০১৩ অনুযায়ী উক্ত অনুষ্ঠানের ব্যাপারে আমার পরামর্শ নেওয়ার কথা থাকলেও অনুষ্ঠানের দাওয়াতনামা করার পূর্বে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। তাছাড়া এ অনুষ্ঠানের চিঠি আমার কার্যালয়ে পাঠানো হয় ৩০ অক্টোবর বিকেল ৪টার পরে। উক্ত অনুষ্ঠানের প্রক্রিয়াটি আমার কাছে বিধিবহির্ভূত মনে হয়েছে বিধায় আমি অনুষ্ঠানে যাইনি। তাছাড়া এদিন আমি শারিরিকভাবে কিছুটা অসুস্থও ছিলাম।”
তবে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো: ফয়েজ উদ্দিন জানান, দুইটা দিবস এক দিনে পড়ে যাওয়ায় এমনিতেই মানসিকভাবে চাপে ছিলাম আর এত ব্যাপকভাবে এ ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন পূর্বে কখনও হয়নি। বর্তমান ইউএনও স্যারের সহযোগিতায় তাড়াহুড়া করে এত বড় একটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে গিয়ে কিছুটা ভূলত্রুটি হয়েছে। আশা করি সামনের দিনগুলোতে ভূলত্রুটিগুলো কাটিয়ে সম্মিলিত প্রচেষ্ঠায় সবকাজ করতে পারব।

কোন মন্তব্য নেই: